সমবার, ৩০ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১১:০২ pm
ডেস্ক রির্পোট :
শীতের তীব্রতা বাড়ায় কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তরের সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রাম। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার হতদরিদ্র মানুষ। এক সপ্তাহ ধরে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সপ্তাহের মধ্যেই জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র।
জানা গেছে, উত্তর-পশ্চিম থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিম বাতাস অব্যাহত থাকায় অনুভূত হচ্ছে কনকনে ঠান্ডা। তবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও দিনে তুলনামূলক গরম অনুভূত হয়েছে। প্রতিদিন দুপুরের পর হালকা কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হয়। এ আবহাওয়ায় দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক ও রিকশা ভ্যান চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও রাত হতেই নেমে আসছে ঘন কুয়াশা। সেই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। জেলার ১৬ নদ-নদী বেষ্টিত সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষসহ দিনমজুর শ্রেণির মানুষেরাও। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এসব মানুষের শীত নিবারনে সরকারিভাবে ১২ হজার কম্বল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলা ঠান্ডা একটু কম থাকলেও সন্ধ্যার আগেই বেড়ে আসে কুয়ার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা। রাতে গাড়ি চালানো যায় না। ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার চর যাত্রাপুরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘শীত শুরু হয়েছে কিন্তু গরম কাপড় কিনতে পারি নাই। বউ-বাচ্চা নিয়ে কষ্টে রাত পার করছি। এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো কম্বল পাই নাই।’
জেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ উপজেলায় গরম কাপড় কেনার জন্য ২৭ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলার সদরসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। রা/অ