বৃহস্পতিবর, ১৯ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০২:২৮ am
এম এম মামুন :
রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা ব্রিজ এলাকায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলের পর মানববন্ধন করেছেন সিএনজি অটোরিকশার চালকেরা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার সময় বাস শ্রমিকদের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে সিএনজি অটোরিকশার চালকেরা জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তবে কিছু সময় পর সড়ক ছেড়ে দিয়ে তারা দুই পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সিএনজি অটোরিকশার চালকদের এই কর্মসূচির কারণে ভাঙচুর আতঙ্কে রাজশাহী থেকে নওগাঁর সকল বাস বন্ধ করে দেন। নওগাঁর বাস গুলো মোহনপুর পর্যন্ত চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে রাজশাহী-তানোর-মুণ্ডুমালা রুটের বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। গত সোমবার সিএনজি অটোরিকশার চালকেরা তানোর উপজেলা সদরে বাসের ছয়জন চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে মারধর করেন। এর জের ধরে দুপুর থেকে রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস বন্ধ রাখা হয়। রাতে বাস চলাচল শুরু হলেও মঙ্গলবার সকালে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর বাস শ্রমিকেরা নগরের শিরোইল বাস টার্মিনাল থেকে লাঠিশোঁটা ও হাতুড়ি নিয়ে এসে রেলগেট সিএনজি স্ট্যান্ডে হামলা করেন। তারা ৭০ থেকে ৮০টি সিএনজি অটোরিকশার কাঁচ ভাঙচুর করে চলে যান। পরে দুপুর থেকে আবার বাস চলাচল শুরু হয়। তবে বুধবার সকাল থেকে আবার রাজশাহী-নওগাঁ রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
পবার নওগাটায় মানববন্ধনে সিএনজি চালকেরা বলেন, সিএনজি স্ট্যান্ডে এসে বাস শ্রমিকেরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। তারা প্রায় ৯০টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে। যাত্রী-চালকসহ অন্তত ৪০ জনকে মারধর করা হয়েছে। তারা এই ঘটনার বিচার চান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন এর বিচার করতে না পারলে লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিক আলী পাখি সিএনজি স্ট্যান্ডে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ওরা নিজেরা নিজেরা দ্বন্দ্ব করে নিজেরাই গাড়ি ভাংচুর করছে। পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সিএনজি চালকেরা বাস ভাঙচুর করতে পারেন এই আশঙ্কায় বাস চলছে না। আবার সিএনজি চালকেরাও তাদের সিএনজিও চলতে দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সড়কে বাস যেমন বন্ধ থাকবে তেমনি সিএনজি অটোরিকশাও বন্ধ রাখতে হবে।
রাজশাহী বাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল বলেন, বুধবার সকালে বাস চলাচল করার সময় সিএনজির চালকেরা নওহাটায় আমাদের দুটি বাস ভাঙচুর করেছে। এ জন্য আতঙ্কে ওই রুটে রাজশাহী থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। নওগাঁর বাস মোহনপুর পর্যন্ত এসে ফিরে যাচ্ছে।
তানোরে বাস শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় ১৮ সিএনজি অটোরিকশা চালকের নামে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সিএনজি স্ট্যান্ডে হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন চালকেরা। এ অবস্থায় বুধবার বেলা ৩টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার নূর আলম সিদ্দিকী উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বিষয়টির সমাধান হওয়া উচিত। এ জন্য ট্রাফিক বিভাগ উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেছে। আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হবে। রা/অ