বৃহস্পতিবর, ২৬ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১০:৪২ am

সংবাদ শিরোনাম ::
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সচিবালয়ের আগুন গভীর রাতে সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২০ ইউনিট নগরীতে সুইটমিট দোকানে বিএসটিআই’র অভিযানে ১০ হাজার টাকা তানোরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট আগুনে দুটি দোকান পুড়ে ছাঁই তানোরে ‘বড়দিন’ উদযাপনে ইউএনও’র কুশল বিনিময় ও শুভেচ্ছা তানোরে সার্কেল এএসপির গীর্জা পরিদর্শন ও কুশল বিনিময় পবায় বাসসের সভাপতি দুলাল ও সম্পাদক পলাশ মোহনপুরে চিরকুট লিখে চারটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি বড়দিন মানেই যেন স্বর্গীয় শান্তির নববারতা : জের্ভাস রোজারিও নগরীতে জুবায়েরপন্থীদের বিক্ষোভ শেষে সাদপন্থীর চারজনের বিরুদ্ধে জিডি বিয়ে করা হলোনা বাগমারার তরুন সেনা সজীবের বাগমারায় মোবাইল নম্বর দিয়ে একরাতে পল্লীবিদ্যুতের ১১টি মিটার চুরি দুর্গাপুরে বড়দিন উপলক্ষ্যে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ নাচোলে পিয়ারা বাগানে এক গৃহবধূ খুন সরাসরি জাহাজ আসছে পাকিস্তান থেকে, আমদানি বেড়েছে ২১ শতাংশ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ এলসি স্থগিত, শিগগিরই কাটছে না সার সংকট রাজশাহীতে টি-২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন আরএমপির মাসিক কল্যাণ সভা আরএমপিতে মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত
‘বিএনপি করলে মুণ্ডচ্ছেদ, আ.লীগ গলা কাটো, এটি গণতন্ত্র নয়’ : ফকরুল

‘বিএনপি করলে মুণ্ডচ্ছেদ, আ.লীগ গলা কাটো, এটি গণতন্ত্র নয়’ : ফকরুল

ডেস্ক রির্পোট :
দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকতা না পাওয়া পর্যন্ত বিএনপিকে কাজ করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের কথা আমরা বলছি, সেই গণতন্ত্র একটা কথার কথা নয়। এটা একটা কালচার- এটা একটা সংস্কৃতি।আপনি-আমি কিভাবে কথা বলব, আমি আমার প্রতিবেশির সঙ্গে কেমন কথা বলব, আমার রাজনীতির প্রতিপক্ষের সঙ্গে কিভাবে কথা বলব সেই বিষয়গুলো আমাদেরকে গণতন্ত্রের ভেতর দিয়ে শিখতে হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে এই নয় যে, আওয়ামী লীগ করলে তাকে গলা কেটে ফেলো আর বিএনপি করলে তার মুণ্ডচ্ছেদ করো.. তাহলে সেটা কিন্তু গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্র হচ্ছে পরমত সহিষ্ণুতা। তোমার কথা বলার অধিকার আছে, আমার বিরুদ্ধেও কথা বলার অধিকার আছেৃ আমি সেটাকে রক্ষা করবো এটাই হচ্ছে গণতন্ত্র।’

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের সামনে অনেক কাজৃ অনেকে মনে করেছেন যে, হাসিনা পালিয়ে গেছে কাজ শেষ হয়ে গেছেৃ না। কিছুক্ষণ আগে আমাদের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলছিলেন যে, যে আমাদের এই আন্দোলন চলবেৃ নির্বাচন পর্যন্ত।না, না.. এই নির্বাচনের পরে আরও বহুদিনৃ যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা একটা গণতন্ত্র সংস্কৃতিতে পরিণত করতে পারব, কালচারে পরিণত করতে পারবৃ. এটা একটা ব্যবস্থা হয়ে দাঁড়াবেৃ ওই জায়গায়তে আমাকে পৌঁছাতে হবে। তাই আমাদের কাজ অনেক বেশি আছে।’

নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসুন আজকে এই দিনে আমরা শপথ নেইৃ যারা আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন তাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা এই শপথ গ্রহণ করি যে, আমরা আমাদের গড়ে তুলব একটি উপযোগী রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেব, গণতন্ত্রের একজন কর্মী হিসেবে, বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে।সেই সঙ্গে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবের কর্মী হিসেবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কর্মী হিসেবে আর আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সত্যিকার কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’

এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সময়টা সবচাইতে কঠিন সময়ৃ আপনার একটা পদক্ষেপ যদি ভুল হয় আপনি পেছনে পড়ে যাবেন, খাদে পড়ে যাবেন। যদি সঠিক পা দিতে পারেন তাহলে আপনি সামনে এগিয়ে যাবেন।আমার অনুরোধ থাকবেৃ এই দিবসগুলো আপনারা অবহেলা করবেন নাৃ জানার চেষ্টা করবেন। অনেক জানেই না কী হয়েছিলৃ ওই দিন কি তালি মারার দিবস না তালি মারার দিবস না, ওই দিন কি মিলাদ করার দিবস না খিচুড়ি খাওয়ার দিবসৃ.। আমাদের দেশের সবচাইতে বরণ্যে ব্যক্তিদেরকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচাইতে ভালো শিক্ষকদেরকেৃ. তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলৃ।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মজার ব্যাপার হচ্ছে তাদের তুলে নিয়ে গেছে এই যে ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদেরকে তুলে নিয়ে যেতৃ যেমন আমাদের গুম করে নিত ঠিক ওইভাবে তাদের (শহিদ বুদ্ধিজীবীদের) তুলে নিয়ে গেছে। বাসায় থেকে নেওয়ার সময়ে বলছিল কোথায় নিয়ে যাচ্ছেনৃ এই কিছুক্ষণ পরে চলে আসবে তোৃ এভাবে নিয়ে গেছেৃ নেওয়ার পর আর ফিরে আসেনিৃ রায়ের বাজারে তাদের হাত-পা বাধা মরদেহ পাওয়া গেছে মহিলা-পুরুষ সবার। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে বুদ্ধিজীবীদের কেন প্রাণটা দিতে হলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই আয়নাঘরের মতো তখনও ঘর ছিলৃ এই আয়নাঘরে কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে ছেলেদের, কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরকেৃ একটাই উদ্দেশ্য ছিল তাদেরকে ভয় পাইয়ে দেওয়া, তাদেরকে শেষ করা, তাদেরকে ধ্বংস করা। কেন? একজন ব্যক্তিকে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী করাৃ হাসিনার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে হবে সেজন্য আয়নাঘরে নিয়ে যাওয়া হতোৃ তাই না।’

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মামুন আহমেদ প্রমুখ। সূত্র : যুগান্তর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.