বৃহস্পতিবর, ২৬ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৪:৩৩ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পোষ্য কোটা বহাল রাখতে ‘টালবাহানা করা’র অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পোষ্য কোটাকে লাল কার্ড প্রদর্শন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এই কার্ড প্রদর্শন করেন তারা।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে? আমি কে? মেধাবী মেধাবী’, ‘ছাত্রসমাজের অ্যাকশন/ ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘মেধাবীদের কান্না/ আর না আর না’, ‘কোটা না মেধা?/ মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে/ কোটা প্রথার কবর দে’, ‘জনে জনে খবর দে/ পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘জোহা স্যারের স্মরণে/ ভয় করি না মরণে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নওশীন তাবাসসুম বলেন, ‘এই কোটা আমরা চাই না। আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই কোটার কারণে ৬ থেকে ৭ হাজার সিরিয়ালে থেকেও অনেকে ভালো ভালো সাবজেক্ট পাচ্ছে। কিন্তু এক হাজারের কম সিরিয়ালে থেকেও অনেকেই সাবজেক্ট পায় না। এজন্য আমরা এই কোটাকে লাল কার্ড দেখাচ্ছি।’
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, ‘পোষ্য কোটা আমাদের জন্য লজ্জার। এই কোটার কারণে ফেল করেও অনেকে ভর্তি হচ্ছে। নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই।’
পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সোমবার বিতর্কে বসার আহ্বান জানিয়ে রাবির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমরা আগামীকাল তাদের সঙ্গে বিতর্কে বসতে চাই। সে জন্য আজ আমাদের পক্ষ থেকে একটা চিঠি দেবো। তারা যদি বিতর্কে না যেতে চান, তাহলে অবশ্যই সেটি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অক্ষমতা।
আর তারা যদি ওপেন বিতর্কে জয় লাভ করেন বা তাদের যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে আমরা এই আন্দোলন থেকে সরে যাবো। কিন্তু তারা যদি সেখানে না আসেন তাহলে আমরা কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।’ এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন