বৃহস্পতিবর, ১২ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৬:৪৮ am
জাকির হোসেন বাবলু, দুর্গাপুর :
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দাওকান্দি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের পারিলা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারার খুব ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক। সরকারি বিধিতে স্পষ্ট বলা রয়েছে, কোন রাজনৈতিক দলের পদ ধারি নেতা কোন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হতে পারবেন না। তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে এসেছে।
যেখানে সারাদেশের আওয়ামী লীগের নেতারা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু দুর্গাপুরে হচ্ছে এর উল্টোটা, অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক এখনো দাওকান্দি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি এখনো পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হননি।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। পরে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। কিন্তু দুর্গাপুরে মোজাম্মেলের ক্ষেত্রে হয়েছে এর উল্টোটা। রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. নাদিম মোস্তফার কানপাড়ায় নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের মামলা হয়েছে তার নামে । মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে বলে জানা যায়। ৫ আগস্টের পরে মোজাম্মেল এর বিরুদ্ধে এই একটাই মামলা হয়েছে।
জানা যায়, মোজাম্মেল হক রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদ পান ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারিতে। এছাড়াও তিনি দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পান ২০২২ সালের ২২ মার্চে। প্রতিমন্ত্রী দারার ক্ষমতা ব্যবহার করে মোজাম্মেল হক ২০১০ সালে দাওকান্দি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারার খুব ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
সেই সুবাদে দুর্গাপুরে ছিলো তার একক প্রভাব, তিনি প্রতিমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে দখলদারি টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি করে হাতিয়ে নিয়েছেন অবৈধ ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা। হয়েছেন কোটি টাকার মালিক। স্থানীয়রা জানান, অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক ৫ আগস্ট এর আগে তিনি রাজশাহীতে প্রায় প্রতিদিনই আন্দোলন করেছেন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছেন। এই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মোজাম্মেল হক। এই আওয়ামী লীগ নেতা এখন পর্যন্ত বিচারের আওতার বাহিরে। এহেন পরিস্থিতিতে দ্রুত আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হোক।
এবিষয়ে মোজাম্মেল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হচ্ছে, আমি এসবের সাথে কোন রকমভাবে সম্পৃক্ত নই। আমি দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। ওই পদত্যাগপত্রের কপি আমি সব জায়গায় দিয়েছি। রা/অ