বৃহস্পতিবর, ১২ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৫:২৯ am
বিনোদন ডেস্ক :
বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসান। যিনি কাজের সীমানা ছাড়িয়েছেন পাশের দেশ ভারতে। বলা যায় দুই বাংলাতেই জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। তার অভিনয়ের ভক্তও আছে দুই দেশে। গত রোববার ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হয় ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডসের পঞ্চম আসর। আয়োজনে মোট ৩৯টি পুরস্কার পান তারকারা। বলিউড ও টালিউডের তারকাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান। ‘ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’-এ তিনি পেয়েছেন বিশেষ পুরস্কারও।
এদিন তিনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামদানি পরে ভারতের মঞ্চে উঠেছিলেন। জামদানিকে ব্যতিক্রম নকশায় গায়ে চড়িয়েছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন এই তারকা। সেই ছবি ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বলা যায় রীতিমতো কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন জয়া।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি অনেকে এটা নিয়ে কথা বলছেন। আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার যদি ফিউশন করে খেতে পারি, যেমন পিঠা বা মাছ তো আমরা ফিউশন করে খাই। তাহলে আমাদের দেশের কস্টিউম কেন ফিউশন করে পরতে পারব না? কেউ তো দাসখত দেয়নি যে, জামদানি এভাবে পরা যাবে না, ওভাবে পরা যাবে না। জামদানি যদি স্কার্ট হয়, জ্যাকেট হয় তাহলে এভাবে পরলে সমস্যা কোথায়। আমরা যত ফিউশন করবো তত বাইরের দেশের কাছে উপস্থাপন করতে পারব। এটার চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। এসব ভেবেই আমি জামদানির এই ফিউশন করেছি। দেখুন, কয়েক বছর আগেও জামদানির এতটা চাহিদা ছিল না। কিন্তু এখন জামদানির এত চাহিদা যে, মনে হয় এটা শুধু একটি শাড়ি নয়, এটা অলংকারের মতো। একটা মেয়ে চায়, তার ঘরে একটা সুন্দর দামি জামদানি থাকুক।’ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এটাই প্রথম নয়, আমি যতটুকু পারি জামদানি, মসলিন পরার চেষ্টা করি।
এই লুকটারও একটা বিষয় ছিল। পুরানে যেসব মেয়েরা যুদ্ধ করত, তাদের যে লুক সেই লুকেই আমি সেজেছিলাম এবং সেটা ইচ্ছে করেই। এমনকি পরিচালক সুজয় ঘোষও আমার লুকের প্রশংসা করেছিলেন। ফিল্মফেয়ারের এবারের আসরে উপস্থিত ছিলেন কারিনা কাপুর, অভিষেক বচ্চন, বিজয় ভার্মা, মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহাসহ অনেকেই। তাদের মধ্যে স্বমহিমায় ছিলেন জয়া। সঞ্চালকও মঞ্চে ডেকে নিয়েছিলেন তাকে। সম্বোধন করেছেন ‘ফাইন অ্যাকট্রেস অব বেঙ্গল’ বলে। রা/অ