বৃহস্পতিবর, ০৫ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০১:০৮ am
ডেস্ক রির্পোট :
বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। কোটাবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ২৯২ জন পুলিশ সদস্যের নাম এসেছে। এর মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর ৯২ জনের একটি শীর্ষ তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে দুই পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ তালিকায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন। সেখান থেকে বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর বাইরে তালিকায় আছেন আরো ৮৯ পুলিশ কর্মকর্তা।
তাদের এখনো গ্রেফতার করা না হলেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী বা হামলার ইন্ধনদাতা সব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে হত্যার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
ওই তালিকা ধরে ওই সব পুলিশ সদস্যদের অপরাধে যুক্ত থাকার বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ওই তালিকার সব পুলিশ সদস্যকেই গ্রেফতার করা হবে। এমনকি ওই তালিকায় ৫ আগস্টের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের নামও রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেয়া হবে। ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যার দায়ে এখন পর্যন্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২৭৬টি মামলা হয়েছে। সূত্র জানায়, পুলিশের সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের নামে সাতটি ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের নামে ৩৬টি মামলা আছে।
এছাড়া সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি (সাবেক এসবি-প্রধান) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১১টি এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা হয়েছে। সাবেক র্যাব ডিজি হারুন-অর-রশীদের নামে পাঁচটি এবং ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তারের নামে ছয়টি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপি ডিবির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদের নামে ৩৭টি, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের নামে ২৭টি, এসএম মেহেদী হাসানের নামে আটটি এবং ওয়ারী বিভাগের সাবেক ডিসি ইকবাল হোসাইন আট মামলার আসামি। তাছাড়া ডিএমপির সাবেক কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, সাবেক অতিরিক্ত আইজি লুৎফর কবির, জামিল আহম্মেদ, র্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সিটিটিসির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান, সিটিটিসির যুগ্ম কমিশনার কামরুজ্জামান মামলার আসামি।
এছাড়াও তালিকায় আছেন সাবেক ডিআইজি রিপন সরদার, অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন সরদার, ডিএমপি ডিবির যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, ডিএমপি ডিবি রমনা বিভাগের সাবেক ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম, সাবেক ডিসি (হেডকোয়ার্টার্স) তানভির সালেহীন ইমন, অতিরিক্ত ডিআইজি (সাবেক ডিবি ডিসি) মতিউর রহমান, ডিবির সাবেক ডিসি রাজিব আল মাসুদ, মাহফুজুল আল রাসেল, জাহিদুল তালুকদার, মতিঝিলের সাবেক ডিসি হায়াতুল ইসলাম, উত্তরার সাবেক ডিসি আশরাফুল আজিম, ডিসি এইচএম আজিমুল হক, হাফিজ আল ফারুক, মাহাবুব-উজ-জামান, জাফর হোসেন প্রমুখ। তাছাড়া অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি), পুলিশ পরিদর্শক, এসআই পদমর্যাদার বেশকিছু কর্মকর্তা ছাড়াও গুলশান থানার এসআই মামুন মাতব্বরের বিরুদ্ধে তিনটি এবং শাহবাগ থানার এসআই আশরাফুল সিকদারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হলে বাহিনীর অন্য সদস্যদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। যদিও যেকোনো অপরাধ সংঘটিত হলেই মামলা হয়। এরপর প্রাথমিকভাবে একটা তদন্ত হয়। সেখানে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এখানে আমাদের একটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে যে ঢালাওভাবে যেন কোনো পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার বা হয়রানি করা না হয়। এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি করার সুযোগ নেই বলে মনে করে। এ বিষয়ে পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান, বিভিন্ন মামলায় যারা আসামি তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হচ্ছে, এমনকি পুলিশ সদস্যদেরও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। সূত্র : এফএনএস
নজরদারি ও গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ
ডেস্ক রির্পোট :
বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। কোটাবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ২৯২ জন পুলিশ সদস্যের নাম এসেছে। এর মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর ৯২ জনের একটি শীর্ষ তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে দুই পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ তালিকায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন। সেখান থেকে বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর বাইরে তালিকায় আছেন আরো ৮৯ পুলিশ কর্মকর্তা।
তাদের এখনো গ্রেফতার করা না হলেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী বা হামলার ইন্ধনদাতা সব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে হত্যার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
ওই তালিকা ধরে ওই সব পুলিশ সদস্যদের অপরাধে যুক্ত থাকার বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ওই তালিকার সব পুলিশ সদস্যকেই গ্রেফতার করা হবে। এমনকি ওই তালিকায় ৫ আগস্টের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের নামও রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেয়া হবে। ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যার দায়ে এখন পর্যন্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২৭৬টি মামলা হয়েছে। সূত্র জানায়, পুলিশের সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের নামে সাতটি ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের নামে ৩৬টি মামলা আছে।
এছাড়া সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি (সাবেক এসবি-প্রধান) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১১টি এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা হয়েছে। সাবেক র্যাব ডিজি হারুন-অর-রশীদের নামে পাঁচটি এবং ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তারের নামে ছয়টি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপি ডিবির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদের নামে ৩৭টি, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের নামে ২৭টি, এসএম মেহেদী হাসানের নামে আটটি এবং ওয়ারী বিভাগের সাবেক ডিসি ইকবাল হোসাইন আট মামলার আসামি। তাছাড়া ডিএমপির সাবেক কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, সাবেক অতিরিক্ত আইজি লুৎফর কবির, জামিল আহম্মেদ, র্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সিটিটিসির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান, সিটিটিসির যুগ্ম কমিশনার কামরুজ্জামান মামলার আসামি।
এছাড়াও তালিকায় আছেন সাবেক ডিআইজি রিপন সরদার, অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন সরদার, ডিএমপি ডিবির যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, ডিএমপি ডিবি রমনা বিভাগের সাবেক ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম, সাবেক ডিসি (হেডকোয়ার্টার্স) তানভির সালেহীন ইমন, অতিরিক্ত ডিআইজি (সাবেক ডিবি ডিসি) মতিউর রহমান, ডিবির সাবেক ডিসি রাজিব আল মাসুদ, মাহফুজুল আল রাসেল, জাহিদুল তালুকদার, মতিঝিলের সাবেক ডিসি হায়াতুল ইসলাম, উত্তরার সাবেক ডিসি আশরাফুল আজিম, ডিসি এইচএম আজিমুল হক, হাফিজ আল ফারুক, মাহাবুব-উজ-জামান, জাফর হোসেন প্রমুখ। তাছাড়া অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি), পুলিশ পরিদর্শক, এসআই পদমর্যাদার বেশকিছু কর্মকর্তা ছাড়াও গুলশান থানার এসআই মামুন মাতব্বরের বিরুদ্ধে তিনটি এবং শাহবাগ থানার এসআই আশরাফুল সিকদারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হলে বাহিনীর অন্য সদস্যদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। যদিও যেকোনো অপরাধ সংঘটিত হলেই মামলা হয়। এরপর প্রাথমিকভাবে একটা তদন্ত হয়। সেখানে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এখানে আমাদের একটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে যে ঢালাওভাবে যেন কোনো পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার বা হয়রানি করা না হয়। এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি করার সুযোগ নেই বলে মনে করে। এ বিষয়ে পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান, বিভিন্ন মামলায় যারা আসামি তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হচ্ছে, এমনকি পুলিশ সদস্যদেরও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। সূত্র : এফএনএস