বৃহস্পতিবর, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৪৪ am
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে বিএমডিএর গভীর নলকূপের রাজনৈতিক দখল বাজিতে সেচ পাচ্ছে না কৃষকরা। মূলত বিএনপির কয়েক গ্রুপে বিভক্তির কারণে ফসল হানির শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কামারগঁ ইউপির হাতিশাইল ও বিহারইল গ্রামে ঘটেছে পৃথক এমন ঘটনা। এছাড়াও প্রকৃত অপারেটরকে মারপিটও করা হয়।
সদ্য রোপনকৃত বীজ আলু রোপন করে গভীর নলকূপ থেকে সেচ পায়নি বিএনপির এক গ্রুপের কৃষক। প্রতিকার চেয়ে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের আব্দুর রহিম নামের আলু বীজ চাষী। বিবাদী করা হয়েছে বিহারৈল গ্রামের পিন্টু ও সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানকে।
মঙ্গলবার সকালের দিকে বিএনপির এক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাতিশাইল গ্রামে বিএমডিএর গভীর নলকূপ দখল ও সেচ নিয়ে মারপিট হয়েছে। থানায় অভিযোগও হয়েছে। মার খাওয়া ব্যক্তির একজন সদ্য রোপনকৃত আলুর জমিতে শেলো মেশিনে সেচ দিবেন। কিন্তু মিজান নামের একজন বাঁধা দেয়। মিজান দাপটের সাথে বলছে চারটি গভীর নলকূপ দখল করেছি। এটা কোন জবরদস্তি। অপারেটর নিয়োগ হয়নি। প্রায় গভীর নলকূপ দলের লোকজন দখলে নিয়ে নিয়ম শৃঙ্খলা ভাবে পরিচালনা করছেন না। একই কায়দা শুরু করেছেন দখলবাজ নামধারী নেতারা। অপারেটর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত যদি বিশৃঙ্খলা হয় তাহলে তো ফসলহানি হবে। বিশেষ করে বিএমডিএ একেবারেই গা ছেড়ে বসে আছে। এভাবে চলতে পারেনা। দলীয় হস্তক্ষেপে হোক কিংবা বিএমডিএর হস্তক্ষেপে হোক সেচ যেন বিঘ্ন না ঘটে।
মঙ্গলবার উপজেলার কামারগাঁ ইউপির বিহারৈল গ্রামের আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি উপায় না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, উপজেলার কামারগাঁ ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড বিহারৈল মৌজার অন্তর্গত জেএল নম্বর ২৪৩, দাগ নম্বর ৭৭৮ তে একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। নলকূপটি বিহারৈল গ্রামের তসলিম উদ্দিনের পুত্র পিন্ট ও সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নান জবর-দখল করে সেচ দিচ্ছে। ওই স্কীমে বাদী আব্দুর রহিম তিন বিঘা জমিতে আলুর বীজ রোপণ করেছেন। কিন্তু জমিতে সেচের প্রয়োজন হলেও পিন্টু মান্নানরা বিএনপির অন্য গ্রুপের লোক বলে সেচ দিচ্ছে না। দ্রুত সেচ না দিলে রোপনকৃত বীজ নষ্ট হবে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পিন্টু মান্নান জানান, অভিযোগকারী সেচের পানির কথা বলেইনি।
বীজ আলুচাষী রহিম জানান, একাধিক বার বলার পরেও সেচ দেয়নি। না দেয়ার কারনেই তো অভিযোগ দিয়েছি। সেচ পেলে তো অভিযোগ দিতাম না। এখন সেচ দিলেও কাঙ্খিত বীজের ফলন হবে না। বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) জামিলুর রহমান জানান, অভিযোগের কপি এখনো পায়নি, পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলামের মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। রা/অ