শুক্রবার, ২৭ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৩:৪৮ am

সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিকদের চিকিৎসায় হাসপাতাল তৈরি করা হবে : পরিচালক আব্দুল্লাহ চিকিৎসাধীয় অবস্থায় মারা গেলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাজশাহীতে নতুন পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকবৃন্দের মতবিনিময় সভা ছয় মাসে ৯৯টি পল্লীবিদ্যুতে মিটার চুরি : জড়িত অফিসের জনবল ইমরান খানের স্ত্রী বুশরাকে জনগণের বিক্ষোভে অস্থায়ী জামিন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বরিশালে অধিনায়ক থাকছেন তামিমই ছোটপর্দার অভিনেত্রী অহনা রহমান ‘দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন’ গোদাগাড়ীতে ছাত্রনেতা টমাসের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েমে কাজ করে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী যারা বিগত নির্বাচন বিতর্কিত করেছেন, তাঁদের ক্ষমা নেই : নির্বাচন কমিশন তানোরে ছেলেদের নামে জমি না দেবায় পিতা-মাতাকে মারপিট! হাসপাতালে ভর্তি নাচোলে পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাগমারায় নাসা বাংলাদেশ’র উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ষড়যন্ত্র থেকেই সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আল্লামা শিঙ্গাইরকুড়ী ছাহেব ক্বিবলাহ (রহ.) এর ৪৪তম ঈসালে সাওয়াব মাহফিল প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সচিবালয়ের আগুন গভীর রাতে সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২০ ইউনিট নগরীতে সুইটমিট দোকানে বিএসটিআই’র অভিযানে ১০ হাজার টাকা তানোরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট আগুনে দুটি দোকান পুড়ে ছাঁই তানোরে ‘বড়দিন’ উদযাপনে ইউএনও’র কুশল বিনিময় ও শুভেচ্ছা
শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন : প্রধান উপদেষ্টা

শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন : প্রধান উপদেষ্টা

ডেস্ক রির্পোট :
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা নিজেকে এখনো প্রধানমন্ত্রী মনে করলেও বাস্তবতা ভিন্ন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সরকার, নির্বাচন ও সংস্কারের কাজ একসঙ্গে চলছে। তবে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো যদি চায় সংস্কার বাদ দাও, নির্বাচন দাও, তাহলে তাই করব।’

আজারবাইজানের বাকুতে জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের ফাঁকে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সময় গত রবিবার রাতে ভিডিও সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। সেখান থেকে বাংলাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিচ্ছেন। এগুলো বাংলাদেশের জন্য উপকারী নয়। তাই ভারতের কাছে তারা এসব বিষয়ে বলছেন। তাকে আশ্রয় দিচ্ছে, ঠিক আছে। কিন্তু এমনটা হতে থাকলে তাদের কাছে আবার অভিযোগ করা হবে।’ ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দেওয়া এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

সাক্ষাৎকারে বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. ইউনূস বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) নিজেকে অনেক কিছু বলতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এমনকি ভারতও তাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছে। সুতরাং আশ্রয়দাতাও তাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কিছু বলছে না বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি।’

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইনি প্রক্রিয়া চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার প্রত্যাবর্তন চাওয়া হবে।

সরকারের সময়সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা স্থায়ী সরকার নই। নিয়মিত সরকার পাঁচ বছরের হয়। নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ মানুষ আরো দ্রুত সময়ে সরকারের পরিবর্তন চায়। কাজেই এটা নিশ্চিতভাবেই চার বছরের কম হবে; আরো কম হতে পারে। এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে মানুষের চাওয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়ার ওপর। যদি রাজনৈতিক দলগুলো চায় এটা (সংস্কার) বাদ যাও, নির্বাচন দাও, আমরা সেটাই করব।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি যা করি সেটা নিয়েই খুশি। জীবনের এই সময়ে এসে সেটা বদলাতে চাই না।’ চলমান সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পুরো সরকারব্যবস্থা সংস্কার হবে। মানুষ নতুন কিছু চায়। সেখানে সব ক্ষেত্রে সংস্কার হবে। এমনকি সংবিধানও সংস্কার হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দুটি প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং সব সংস্কার শেষ করার প্রস্তুতি।

সারা দেশ নতুন কিছু চেয়েছে জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নতুন বাংলাদেশ শুধু নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এখানে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষের কাছে জানতে চাইছি, তোমরা কি এখনই নির্বাচনে যেতে চাও, নাকি এসব সংস্কার শেষ করা হোক তা চাও।’ সব কিছু জনগণের সঙ্গে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের মতামতের ভিত্তিতেই হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ভারতের সঙ্গে মিলে অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা করতে চান বলে উল্লেখ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ১৬ বছর দুর্নীতিতে নিমর্জ্জিত ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দেশকে বের করে আনার চেষ্টা করছে তার সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার অতীতে কখনো কথা হয়নি। তাই ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের সঙ্গে তার কোনো সমস্যা নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির মতো রিপাবলিকান পার্টিতে তার বন্ধু আছে।

তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেই হঠাৎ করে নেতিবাচক কিছু হওয়ার দেখছি না। আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এমন কিছু নয় যে প্রেসিডেন্ট কে হবেন তার ওপর নির্ভর করে এদিক-ওদিক ঘুরপাক খায়। এই নীতির একটি স্থিতিশীল অংশ রয়েছে।’
শেখ হাসিনার অভিযোগ, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে, যা বাইডেন প্রশাসন অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনি যদি বাংলাদেশে থাকেন তাহলে আপনি এ ধরনের (তত্ত্ব) জিনিসের জন্য পাগল হয়ে যাবেন। এরা হলো সেই ছাত্র যারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে, জীবন দিয়েছে এবং চারদিক থেকে উন্মত্ত জনতা যখন তাদের (গণভবন) বাড়িতে ঢুকছে, তখন লাখ লাখ জনতা তাদের বাড়ির দিকে এগিয়ে গেছে। তার পরিবার বলছিল, এবার পালানোর সময় হয়েছে, কারণ তা না হলে জনতা পুরো বাড়ি দখল করে নেবে এবং এটা হয়ে যাবে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘তাই তিনি (শেখ হাসিনা) সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রণ জানান তাকে দেশের বাইরে যেতে সাহায্য করার জন্য এবং দেশ ত্যাগ করে তার ভারতে যেতে সহায়তা করে সেনাবাহিনী। কিভাবে (ক্ষমতাচ্যুত) হয়েছিল? এটাই হচ্ছে ঘটনা। সেনাবাহিনী বা কাউকে পাঠানোর বিষয়ে কেউ কাউকে নির্দেশ দিচ্ছে ব্যাপারটা সে রকম নয়। এটি একটি ছাত্র আন্দোলন এবং দেশের সব মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সংখ্যালঘুর অধিকার প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ড. ইউনূস কিভাবে এই সংকট মোকাবেলা করার পরিকল্পনা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘুদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, দেখুন, আপনি দেশের নাগরিক। সংবিধান আপনাকে আপনার অধিকার, স্বাধীনতা, নিজেকে প্রকাশ করার অধিকার, আপনার নিজের ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। এগুলো সংবিধানেই আছে। সুতরাং এটি আপনার (বাইরের দেশ) দিক থেকে আসা কিছু নয়। নাগরিকরা সংবিধানের দেওয়া অধিকার যাতে ভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করাই সরকার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব।’

প্রশ্নকর্তা বলেন, কিন্তু হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বেড়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। উত্তরে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, ‘সহিংসতা বাড়েনি। আমি বলব সহিংসতা কমেছে। বিপ্লবের সময় থেকেই সহিংসতা শুরু হয়। এ কারণে নয় যে তারা হিন্দু বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী, তাদের বেশির ভাগই ছিল আওয়ামী লীগার।’ সূত্র : কালেরকণ্ঠ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.