বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:২৩ pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে সম্প্রতি পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হওয়ায় নতুন করে কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে। রাজ্যে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বেশ কয়েক মাস ধরেই মণিপুরে জাতিগত উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো মেইতেই সম্প্রদায়ের সদস্যদের। গত সপ্তাহে মণিপুরের জিরিবাম জেলায় মণিপুর পুলিশ ও কুকি বিদ্রোহীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়, এবং সেই ঘটনার পর থেকে এই ছয়জন নিখোঁজ ছিলেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার জিরিবামের একটি নদী থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার হয়, এবং আরও তিনটি মরদেহ আজ পাওয়া যায়।
এএফপির সূত্রে জানা যায়, মরদেহগুলোর উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ জনতা বেশ কয়েকটি স্থানীয় রাজনীতিকের বাড়িতে হামলা চালায়, তবে এতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। শনিবার, বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে ইম্ফলের সড়ক অবরোধ করলে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় মণিপুর সরকার শহরে কারফিউ জারির ঘোষণা দেয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য, রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই দিনের জন্য মণিপুরের ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সহিংসতার জেরে কয়েক মাস মণিপুরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল, এবং ওই সময় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। বর্তমানে, কয়েক হাজার বাসিন্দা জরুরি আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছেন এবং তারা এখনও নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারছেন না।
মণিপুরে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরি এবং জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মানবাধিকারকর্মীদের অভিযোগ, স্থানীয় নেতারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য জাতিগত বিভাজন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সূত্র : এএফপি