বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:১৭ pm
ক্রীড়া ডেস্ক :
স্কোর : আফগানিস্তান ৪৮.২ ওভারে ২৪৬/৫ (আজমত ৭০*, নবী ৩৪*, গুলবাদিন ১, গুরবাজ ১০১, হাসমতউল্লাহ ৬, রহমত ৮, সেদিকুল্লাহ ১৪) বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৪৪/৮ (শরিফুল ২*, মাহমুদউল্লাহ ৯৮, নাসুম ৫, জাকের ১, মিরাজ ৬৬, হৃদয় ৭, সৌম্য ২৪, তানজিদ ১৯, জাকির ৪) ফল: আফগানিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।
আগের দুই ম্যাচে ডাক মেরেছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। রহমানউল্লাহ গুরবাজও ব্যর্থ ছিলেন, করেন ৫ ও ২ রান। এই দুই ব্যাটার জ্বলে উঠলেন ‘অলিখিত ফাইনালে’। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে তাদের দাপটের কাছে হেরে গেলো বাংলাদেশ। ৫ উইকেটের জয়ে ২-১ এ ওয়ানডে সিরিজ জিতলো আফগানিস্তান। সংযুক্ত আরব আমিরাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর আরেকটি ৫০ ওভারের ক্রিকেট সিরিজে সাফল্য পেলো তারা।
নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে মেহেদী হাসান মিরাজ আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। ৭২ রানে চার উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সামনে থেকে দলকে টেনে তোলেন তিনি। তাদের জুটিতে বাংলাদেশ আড়াইশ ছাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু ১৪৫ রানের জুটি ভেঙে রানের গতিতে ভাটা পড়ে। আড়াইশ পার করতে পারেনি বাংলাদেশ, ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি না হওয়ার আফসোসে পোড়েন মাহমুদউল্লাহও। তার হতাশা ও বাংলাদেশের হারের বেদনা ম্যাচ শেষে এক বিন্দুতে মিললো।
অথচ ২৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও বাংলাদেশ বোলিংয়ে দারুণ শুরু করেছিল। ৮৪ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফেরায় তারা। কিন্তু গুরবাজ ও ওমরজাই পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান। সেই কাঁটা তুলে ফেললেও তার আগেই শক্ত ভিত গড়ে ফেলে এই জুটি। গুরবাজ সেঞ্চুরি করে থামেন। ১০০ রানের জুটি মিরাজ ভাঙার পর নাহিদ রানা গুলবাদিন নাইবকে ফেরান। কিন্তু অভিজ্ঞ ব্যাটার মোহাম্মদ নবী একপ্রান্ত আগলে রেখে আজমতউল্লাহকে প্রেরণা দিতে থাকেন। সময়সুযোগ বুঝে চারও মেরেছেন তিনি পাঁচটি। অন্যদিকে হাফ সেঞ্চুরি করা আজমত তার আগ্রাসী ব্যাটিং ধরে রাখেন। ৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে খরুচে শরিফুল ইসলামকে ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নেন তিনি। ৭৭ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন আজমতমউল্লাহ। এর আগে বল হাতে চার উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের রানের লাগাম টেনে ধরেছিলেন তিনি। নবী অপরাজিত ছিলেন ২৭ বলে ৩৪ রানে, চার ছিল পাঁচটি। ৮ উইকেটে বাংলাদেশের করা ২৪৪ রানের জবাবে আফগানিস্তান ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান করে।
বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে আজমতউল্লাহ-নবী জুটি :
রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে ১০০ রানের জুটি ভেঙে বাংলাদেশ স্বস্তি ফিরিয়েছিল, কিন্তু তা কেড়ে নিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার সঙ্গে মোহাম্মদ নবীর জুটি চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশকে।
গুলবাদিনকে আউট করলেন নাহিদ, আজমতউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরি রহমানউল্লাহ গুরবাজকে আউট করে মেহেদী হাসান মিরাজ ব্রেকথ্রু আনেন। নাহিদ রানা ডেথ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আফগানিস্তানের পঞ্চম উইকেট তুলে নিলেন। গুলবাদিন নাইবকে তিনি জাকের আলীর ক্যাচ বানান ১ রানে। ১৮৮ রানে পাঁচ উইকেট হারালো আফগানরা। লক্ষ্য ২৪৫ রানের।
একই ওভারের শেষ বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মেরে ৫৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। প্রথম দুই ওয়ানডেতে ডাক মারা এই ব্যাটার বল হাতেও নেন চার উইকেট।
সেঞ্চুরিয়ান গুরবাজকে ফেরালেন মিরাজ :
১১৭ বলে ৫ চার ও ৭ ছয়ে সেঞ্চুরি করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। বাংলাদেশের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে সেঞ্চুরির পরে আর তিন বল খেলতে পেরেছেন। ১২০ বলে ১০১ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হন তিনি জাকির হাসানের ক্যাচ হয়ে। দলীয় ১৮৪ রানে চার উইকেট হারালো আফগানিস্তান। ১১১ বলে ১০০ রানের জুটি ছিল গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের।
গুরবাজের সেঞ্চুরি গুরবাজের সেঞ্চুরিতে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ :
সেদিকুল্লাহ আতালকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান আসে। তারপর দলীয় ৮৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় আফগানিস্তান। রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শহীদীর কাছ থেকে উপযুক্ত সঙ্গ না পেলেও রহমানউল্লাহ গুরবাজ একাই দলকে টেনে নিতে থাকেন। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। সপ্তম হাফ সেঞ্চুরিকে গুরবাজ অষ্টম সেঞ্চুরি বানিয়েছেন ৩৮তম ওভারের পঞ্চম বলে।
গুরবাজের বাউন্ডারিতে আফগানিস্তানের একশ অন্য ব্যাটারদের কাছ থেকে উপযুক্ত সঙ্গ না পেলেও রহমানউল্লাহ গুরবাজ একাই লড়াই করছেন। ২৩তম ওভারে শরিফুল ইসলামের চত্র্থু বলে বাউন্ডারি মেরে আফগানিস্তানকে একশর ঘরে নেন তিনি।
গুরবাজের সপ্তম হাফ সেঞ্চুরির পর হাসমতউল্লাহ আউট :
২০তম ওভারের পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে রহমানউল্লাহ গুরবাজ সপ্তম হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন। প্রথম দুই ম্যাচে ৫ ও ২ রান করা এই ব্যাটার ৬০ বলে ২ চার ও চার ছয়ে পঞ্চাশ ছোঁন। পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমান। হাসমতউল্লাহ শহীদীকে ৬ রানে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান তিনি। ২১ বল খেলেন আফগানিস্তান অধিনায়ক। ৮৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারালো তারা।
ফিরতি ক্যাচ নেন মোস্তাফিজ রহমতকে আউট করলেন মোস্তাফিজ :
রহমত শাহকে নিজের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে শিকার বানালেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বাউন্সে তাকেই সহজ ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন আফগান ব্যাটার। ২২ বলে মাত্র ৮ রান করেন তিনি। ১৪ ওভারে ২ উইকেটে ৬৪ রান আফগানিস্তানের।
পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৪৫ রান দিয়েছে বাংলাদেশ :
২৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে স্বস্তিদায়ক বোলিং পারফরম্যান্স করেছে। নাহিদ রানা তার পাঁচ ওভারে মাত্র ১৩ রান দেয় নেন ১ উইকেট। ওপেনার সেদিকুল্লাহ আতালকে বোল্ড করেন তিনি। প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ ৪৫ রান দিয়ে ওই একটি উইকেটই পেয়েছে।
নাহিদের প্রথম উইকেট ওয়ানডেতে নাহিদের প্রথম শিকার সেদিকুল্লাহ :
প্রথম তিন ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ৬ রান দেন নাহিদ রানা। দারুণ লাইন ও লেন্থের বোলিংয়ের পর নিজের চতুর্থ ওভারে পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের পেসার। অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে সেদিকুল্লাহ আতালকে বোল্ড করেন তিনি। ১৮ বলে ১৪ রানে আফগান ওপেনার বিদায় নেন। বাংলাদেশ ৪৮ রানে পেলো প্রথম উইকেট।
নাহিদের দারুণ বোলিং সামলে লড়ছে আফগানিস্তান :
অভিষেক ওয়ানডেতে নাহিদ রানা চমৎকার বোলিং করছেন। দারুণ লাইন-লেন্থের বোলিংয়ে কয়েকবার দুই আফগান ওপেনারকে টপ এজে শিকার বানানোর সম্ভাবনা জাগান। তবে সতর্ক ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি লড়াই করছে। ৬ ওভারে ৩২ রান তাদের। নাহিদ তিন ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়েছেন।
মাহমুদউল্লাহর ৯৮ রান, আফগানিস্তানকে ২৪৫ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশের তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ৫৩ রানে তাদের বিচ্ছিন্ন করে আফগানিস্তান উইকেট উৎসবে মেতে ওঠে। ৭২ রানে তুলে নেয় বাংলাদেশের চার উইকেট। নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহর জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দুজনের ১৪৫ রানের জুটি স্বস্তি ফেরায়। দুজনেই করেন হাফ সেঞ্চুরি।
মিরাজ ৬৬ রানে বিদায় নেওয়ার পর ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। আড়াইশ করার প্রত্যাশা জাগিয়েছিল তারা। কিন্তু চার উইকেটে ২১৭ রান করা দলটি থামে ৮ উইকেটে ২৪৪ রানে। মিরাজের পর জাকের আলী ও নাসুম আহমেদকে দ্রুত হারায় বাংলাদেশ। এদিকে মাহমুদউল্লাহর ওপর সেঞ্চুরির চাপ বাড়তে থাকে, ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ৯৭ রানে স্ট্রাইক প্রান্তে যান। দুটি রান নিতে গিয়ে আউট হন তিনি, রহমত শাহের থ্রোয়ে রহমানউল্লাহ গুরবাজ স্টাম্প ভাঙেন। ৯৮ রানে আউট মাহমুদউল্লাহ। তার ৯৮ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ৩ ছয়। দারুণ খেলেও আফসোস থেকে গেলো তার।
আফগানিস্তানের বোলার আজমত ৭ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। সিরিজ জিততে বাংলাদেশ ২৪৪ রান ডিফেন্ড করতে হবে।
সেঞ্চুরি হলো না মাহমুদউল্লাহর ১৪৫ রানের জুটি গড়ে ফিরলেন মিরাজ, ১ রানে আউ্ট জাকের :
৭২ রানে চার উইকেট পড়ার পর বাংলাদেশ তীব্র চাপে পড়েছিল। মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের পঞ্চম উইকেটের জুটিতে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়। হাফ সেঞ্চুরি করেন দুজনেই। অবশেষে ইনিংসের চার ওভার বাকি থাকতে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মিরাজকে। ১৭৭ বলে ১৪৫ রানের জুটি গড়ে ৪৬তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে গুলবাদিন নাইবকে ক্যাচ দেন তিনি। ১১৯ বলে চারটি চারে ৬৬ রান করেন অধিনায়ক।
পরের ওভারে দুইবার জীবন পান মাহমুদউল্লাহ। তার বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হন বাংলাদেশি ব্যাটার। শেষ বলে রশিদ খান তার ফিরতি ক্যাচ ছেড়ে দেন।
নতুন ব্যাটার জাকের আলী এবার সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ২ বল খেলে ১ রানে থামেন তিনি। আজমতউল্লাহর বলে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ক্যাচ হন তিনি। আম্পায়ার নট আউট দিলে আফগানিস্তান রিভিউ নিয়ে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সফল হয়।
মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ ১৪৫ রানের জুটি গড়েন বাংলাদেশের দুইশ :
৪৫তম ওভারের চতুর্থ বলে মাহমুদউল্লাহ রশিদ খানকে বাউন্ডারি হাঁকালেন। তাতে বাংলাদেশের স্কোর দুইশ ছাড়ায়।
মাহমুদউল্লাহর পর মিরাজের হাফ সেঞ্চুরি ৪০তম ওভারের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেন মাহমুদউল্লাহ। তাতে ২৯তম ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করেন তিনি। পরের ওভারে ফিফটি করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭২ রানে চার উইকেট হারানোর পর দুজনে জুটি বাঁধেন।
মিরাজ ৬৬ রান করেন বাংলাদেশের সেঞ্চুরির পর মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ জুটির হাফ সেঞ্চুরি :
৭৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ জুটি বেঁধে কিছুটা স্বস্তি ফেরাতে শুরু করেছেন। দুজনের জুটিতে বাংলাদেশ একশ পার করেছে।
২৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নানগেয়ালিয়া খারোটের বলে দুটি রান নিয়ে দলীয় স্কোর একশ পার করেন মাহমুদউল্লাহ। ২৮তম ওভরে এই জুটি পঞ্চাশ পার করেন।
রশিদের চতুর্থ বলে হৃদয় আউট :
আফগানিস্তান সিরিজের শেষ ম্যাচেও ব্যর্থ তাওহীদ হৃদয়। রশিদ খান ১৫তম ওভারে বল হাতে নিয়ে তাকে শিকার করলেন। চতুর্থ বলে স্লিপে গুলবাদিন নাইবের ক্যাচ হন বাংলাদেশি ব্যাটার। প্রথম দুই ম্যাচে ১১ রান করা হৃদয় শেষ ওয়ানডেতে ১৪ বল খেলে মাত্র ৭ রান করেন। বিনা উইকেটে ৫৩ রান করা বাংলাদেশ ৭২ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো।
হৃদয়কে আউট করেন রশিদ জাকিরের রান আউটে চাপে বাংলাদেশ :
দারুণ শুরুর পর ছন্দপতন ঘটেছে বাংলাদেশের। দ্রুত সময়ে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে। ১০.২ ওভারে সিঙ্গেল নিতে কল দেন মিরাজ। তাতেই ঘটে বিপদ। বিপদ বুঝতে পেরে ফেরার চেষ্টা করলেও ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। তার ক্রিজে পৌঁছার আগেই সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্প ভেঙেছেন খারোটে। জাকির রান আউট হয়েছেন ৪ রানে।
সৌম্যর পর দ্রুত ফিরলেন তানজিদও
আগের ওভারে সৌম্যর বিদায়ে ভেঙেছে শুরুর জুটি। পরের ওভারে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন দুবার জীবন পাওয়া তানজিদ তামিম। মোহাম্মদ নবীর বলে আলগা শট খেলতে গিয়ে হাশমতউল্লাহর তালুবন্দি হয়েছেন ১৯ রানে।
সৌম্যর বাজে শটে ভাঙলো ৫৩ রানের জুটি :
দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতেই পঞ্চাশ ছাড়ান তারা। দুর্ভাগ্য ৮.৩ ওভারে আজমতউল্লাহর বলে বাজে শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন সৌম্য সরকার। অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মারতে গিয়েছিলেন একটু দেরিতে। তাতেই ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত করে স্টাম্পে। বিদায়ের আগে করেছেন ২৪ রান। সৌম্যর আউটে ভেঙেছে ৫৩ রানের জুটি।
রান আউট জাকির দ্বিতীয়বার জীবন পেলেন তানজিদ :
ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু করেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে ফজল হক ফারুকির বলে ক্যাচ উঠেছিল ওপেনার তানজিদ তামিমের। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গেলে এজ হয়েছিলেন। কিন্তু স্লিপে থাকা গুলবাদিন নাইব হাতে জমাতে পারেননি তা। তানজিদ তখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি। পরের ওভারে আবারও জীবন পান তিনি। গজনফরের বলেও ক্যাচ দিয়েছিলেন। স্লগ সুইপ করতে গেলে বল এজ হয়ে উপরে উঠলেও সেটা হাতে জমাতে পারেননি শহীদী। তখন সাত রানে ব্যাট করছিলেন তানজিদ।
টস জিতেছে বাংলাদেশ, নাহিদ রানার অভিষেক :
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মিরাজ-নাসুমদের চোখ এখন সিরিজ জয়ে। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
দুই ম্যাচেই টসভাগ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। টস জয়ী দল জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে শেষ হাসি হেসেছিল।
অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে। চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার জায়গায় আজ অধিনায়কের দায়িত্বে মেহেদী হাসান মিরাজ। এই ম্যাচ দিয়েই আবার শততম ওয়ানডে খেলতে নামছেন তিনি।
প্রথম ম্যাচে ৯২ রানের পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৮ রানের অসাধারণ জয় পায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ওয়ানডেটি তাই অলিখিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে।
ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে নাহিদ রানার। নাহিদ রানার অভিষেক :
বাংলাদেশ দুটি পরিবর্তন নিয়ে আজ খেলতে নােমছে। শান্ত ছিটকে যাওয়ায় প্রত্যাশিতভাবে একাদশে এসেছেন জাকির হাসান। তাসকিন আহমেদকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় আজ অভিষেক হচ্ছে আরেক পেসার নাহিদ রানার। আফগানিস্তানের একাদশ অবশ্য অপরিবর্তিত।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, জাকির হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক) মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), নাসুম আহমেদ, নাহিদ রানা, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ :
সেদিকুল্লাহ অটল, রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদী (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, এএম গজনফর, নানগেয়ালিয়া খারোটে, ফজল হক ফারুকি। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন