বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:২৩ pm
এম এম মামুন :
রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ডিজিটাল স্ক্রলিং বোর্ডে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বার্তা প্রচারের সূত্রপাত ও জড়িতদের শনাক্তে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী কলেজ প্রশাসনিক ভবনের ওই ঘটনার জেরে কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমায়েত হন। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে তারা স্থান ত্যাগ করেন।
রোববার রাতে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে, এদিন বিকেলে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবারও আসবে ভয়ংকর রূপে, সাবধান’ লেখাটি ভেসে উঠে কলেজের ডিজিটাল বোর্ডে। মুহুর্তেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয় সমালোচনা। কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনেও অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
তদন্ত কমিটি সদস্যরা হলেন- কমিটির প্রধান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মতিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বারিক মৃধা ও আইসিটি বিভাগের প্রভাষক আর এম ইমতিয়াজ আলম।
তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। যে নাম ঐ বোর্ডে দেখা গেছে সেই নামের একটি ফেসবুক আইডিও আমরা পেয়েছি। তবে তার পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে তদন্ত কমিটিও কাজ শুরু করেছে। আমার এরই মধ্যে বোয়ারিয়া থানায় একটি জিডিও করেছি। কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরএমপির বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি মাসুদ বলেন, রাতে রাজশাহী কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি জিডি করেছে। সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। রা/অ