বুধবা, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৩৬ am
ডেস্ক রির্পোট :
আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির। শনিবার টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আসন্ন রমজানে টিসিবি খেজুর ও ছোলা বিক্রি করবে। বিগত সরকারের আমলে ফ্যামিলি কার্ডে যে ঝামেলা ছিল তার সমাধানে জেলা প্রশাসককে চিঠি লেখা হয়েছে। বর্তমানে ১ কোটি পরিবারকে দেওয়ার পরও সরকারের নির্দেশে ঢাকায় ৫০টি স্পটে এবং চট্টগ্রামে ২০টি ট্রাকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। দরকার হলে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।
মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, টিসিবি বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের জন্য প্রতি মাসে ২০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল, ২ কোটি লিটার ভোজ্যতেল, ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি বিক্রি করে। এছাড়া পবিত্র রমজানের সময় ১০ হাজার মেট্রিক টন ছোলা, প্রায় ১৫০০ মেট্রিক টন খেজুর বিক্রি করে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আমদানির মাধ্যমে সারা দেশে পেঁয়াজ ও আলু বিক্রয় করে থাকে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পালনের জন্য টিসিবির গুদামগুলোতে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোসহ প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ১ কোটি কার্ডধারীদের পণ্য প্রদানের পাশাপাশি বর্তমানে টিসিবি গার্মেন্ট শ্রমিকদের পণ্য প্রদানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয় ও বিজিএমই-এর সঙ্গে কাজ করছে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে টিসিবি বৈদেশিক আমদানি ও স্থানীয় ক্রয়ের মাধ্যমে পণ্য সংগ্রহের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
৪৩ লাখ কার্ড বাতিল হয়নি, ব্যাখ্যা : সরকারি সংস্থা টিসিবি মুখপাত্র হুমায়ুন কবির ৪৩ লাখ পরিবার বা ফ্যামিলি কার্ড বাতিল করাসংক্রান্ত বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কার্ড বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়।
তিনি বলেন, এক কোটি পরিবার কার্ডের মধ্যে ৫৭ লাখ কার্ডকে স্মার্টকার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে। বাকি ৪৩ লাখ কার্ড স্মার্টকার্ডে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এখন তথ্য হালনাগাদ ও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে যদি কোনো কার্ডে অনিয়ম ধরা পড়ে তাহলে সেই কার্ড বাতিল করা হবে।
তিনি বলেন, এখন এক কোটি কার্ডধারী সবাইকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। কার্ডগুলোকে স্মার্টকার্ডে রূপান্তরে তথ্য হালনাগাদ করার জন্য টিসিবির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনকে চারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কার্ডধারীদের তথ্য পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জনসহ (যদি প্রয়োজন হয়) হালনাগাদ বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনে সাম্প্রতিক রদবদলের কারণে টিসিবির হাতে এসব তথ্য এখনো আসেনি। সেজন্য বাকি ৪৩ লাখ কার্ড স্মার্টকার্ডে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে সময় লাগছে। এখন পুরোনো কার্ডেই পরিবারগুলোর কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। সূত্র : যুগান্তর