বুধবা, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৩৭ am
মো. মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহাসিক ভূবনমোহন পার্কে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী বার সমিতির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী আবুল কাশেম সরকার। এতে সভাপতিত্ব করেন- রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা।
সভাপতির বক্তব্যে ঈশা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে সিপাহী-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে জেল থেকে বের করেছিলেন। কারণ সে সময়ে দেশের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে পড়েছিলো। এই ভঙ্গুর অবস্থা থেকে দেশকে তুলে আনতে এবং দেশকে একটি সম্মান জনক অবস্থায় নিয়ে যেতে তাঁর খুব প্রয়োজন হয়ে পরে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার সুযোগ পান। হাসিনা দেশে এসেই ষড়যন্ত্র করে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে।
তিনি আরো বলেন, হাসিনার বাবা যেমন দেশে বাকশাল কায়েম করে চরম অরাজকতা ও নির্যাতন এবং খুন ও গুম চালিয়েছিল তেমনি করে হাসিনাও এই সময়ে এসে নব্য বাকশাল কায়েম করে একই রকম কাজ শুরু করেছিল। দীর্ঘ পনের বছর ধরে দেশকে শোষণ করে একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। এই পনের বছরে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন, গুম ও নির্যাতন করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করে কারাগারে রেখেছিল।
শুধু তাই নয়, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রমহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসিনা নির্মম নির্যাতন করিয়েছিল। প্রায় আশিটির অধিক মামলা দিয়েছিল। সেইসাথে অনেক মামলায় তাঁকে সাজা প্রদান করেছে শেখের বেটি হাসিনা। তিনি এখন সুদুর লন্ডনে চিকিৎধীন আছেন। সেখান থেকে দলের হাল ধরেছেন বলে উল্লেখ করেন সভাপতি। ঈশা আরো বলেন, সাম্প্রতিক রাজশাহী বিএনপিকে নিয়ে ঘোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র একটি মোহল নিজেদের ফাঁয়দা লুটতে চাচ্ছে। কিন্তু তাদের আশা কোনভাবেই সফল হবে না। রাজশাহী মহানগর বিএনপি যথাসময়ে সমোচিত জবাব দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর ঐ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের থেকে দুরে থাকার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নজরুর হুদা, সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শাফিক, বজলুল হক মন্টু, রাজশাহী বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট পারভেজ তৌফিক জাহেদী, এ্যাডভোকেট রইসুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখি ও সাধারণ সম্পাদক রফিকউদ্দিন, জাসাস এর সদস্য সচিব সেলিম রেজা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকুসুদর রহমান সৌরভসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ছাড়াও অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। রা/অ