বুধবা, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৪৩ am
শহিদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক) নাচোল :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে অপহৃত কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে উদ্ধার ও অপহরণকারী ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের দাবিতে অপহৃতার পিতা ও নানা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার সকাল ১০টায় অপহৃতার স্বজনদের আয়োজনে উপজেলা প্রেসক্লাব কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেয়ের পিতা উল্লেখ করেন, তার মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌস নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার বলদাহা গ্রামে তার নানা রফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে ওই উপজেলার গাঙ্গুরিয়া কলেজে ১ম বর্ষে অধ্যায়ণরত ছিল। গত ৮ অক্টোবর সে আমার বাড়ি নাচোল উপজেলার কসবা ইউপির কলাবোনা গ্রামে আসে।
পরদিন ৯ অক্টোবর মেয়ের পিতা-মাতার অনুপস্থিতিতে কলাবোনা গ্রামের বেলালের ছেলে আওয়ামী ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব (৩৬) পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সকাল ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে জান্নাতুন ফেরদৌসকে বাড়ির বাইরে ডেকে বিপ্লবের পিতা-মাতা, সহদর ভাই হৃদয় (২০) ও চাচাতো ভাই রশিদের সহযোগিতায় ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে অপহরণ করে এবং আত্মগোপনে চলে যায়।
মেয়ের পিতা-মাতা ও অন্যান্য স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে গত ৯ অক্টোবর তিনি নাচোল থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদেরকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দয়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও নাচোল থানাপুলিশ অপহরণকারীর পিতা বেলাল, ভাই হৃদয় ও রশিদকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়।
কিন্তু নাচোল থানাপুলিশ অপহরণকারী বিপ্লবের স্বজনদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ও কসবা ইউপির ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. ফিরোজের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মূল আসামি ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লবকে আটক ও তার মেয়েকে উদ্ধার কাজে টালবাহানা করে কালক্ষেপণ করে চলেছে। সংবাদ সম্মেলনে অপহৃতার পিতা মামুন আর রশিদ ও নানা রফিকুল ইসলাম কলেজছাত্রী জান্নাতুন ফেরদৌসকে উদ্ধার ও অপহরণকারী বিপ্লবকে জরুরী ভিত্তিতে আটকের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে নাচোল থানার ওসি (তদন্ত) ফরিদ উদ্দিন জানান, মামলা দায়েরের পরপরই এজাহারনামীয় ৩ জন আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটকের জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে তদন্ত ওসি। রা/অ