মঙ্গবার, ০৩ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১১:৪১ pm
মো. শাকিল হোসেন (নিজস্ব প্রতিবেদক) নিয়ামতপুর :
নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় পতিসর আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রায় ৬১০ একর জমির উপর, গত ২০২৮ সালের ৩ মার্চ ভিত্তিস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রোফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান।
নওগাঁ জেলা শহর থেকে প্রায় ৪৩ কি.মি. দূরে বিশ্ব কবি গুরু রাবিন্দ্রনাথের উপর গবেষণার জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রোফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান। সাবেক আওয়ামী সরকার এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৮ বিঘার উপর জমি একোয়ার করে এবং ১১ তলা ভিত দিয়ে একটি বহুতল ভবনের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। একটি তিনতলা ভবন, ক্যান্টিন, আন্ডার গ্রাউন্ড গাড়ি পার্কিং গ্যারেজ, গেইট সংলগ্ন লাইব্রেরীসহ বিভিন্ন স্থাপন গড়ে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমান ৬ জন মহিলা এবং ২০ জন বিভিন্ন পদবীর মোট ২৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পাশেই প্রায় ৩০ একর সরকারি খাস পতিত জমি রয়েছে তা এলাকার বিভিন্ন মানুষ নামে বেনামে দখলে রেখেছে। এখানে পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার মত প্রচুর জায়গা রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষের দাবি শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা শাখা, রবিন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট এখানে বিশ্ববিদ্যালয় অবকাঠামো গড়ে তোলার মত অনেক জায়গা রয়েছে। বিশ্ব কবি গুরু রাবিন্দ্রনাথ ঠাকুর যে নদী কে নিয়ে অনেক কবিতা রচনা করেছিলেন সেই নাগর নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট।
আজ থেকে প্রায় ৭ বৎসর গত হতে চলেছে। কিন্তু এই ২৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কোন বেতন ভাতাদি হয় নাই। তারা আজ দীর্ঘদিন থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. সাইদুর রহমান, সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার ফাহমিদ রেজুয়ান রাব্বি ও পরিছন্ন কর্মি মোছা. নুরনাহার তাদের বক্তব্য শুনে বুঝা যায় বা মনে হয়, দিনরাত তারা পরিশ্রম করে এতবড় একটা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা তাদের জন্য বড় কষ্ট দায়ক।
বিগত ৭ বৎসর রক্ষণা বেক্ষণসহ সব দেখা শুনা করছে ও নিয়মিত অফিস পরিচালনা করে দূঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত তারা সরকারি বেতন ভাতার মূখ দেখতে পেল না। এভাবে কোন আশায় আর কতদিন চলতে পারবে? সরকারের কোন বরাদ্দ নাই যা দিয়ে এতবড় প্রতিষ্ঠান রক্ষণা বেক্ষণ করবে।
পতিসর এত বড় আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট গড়ে উঠেছে বলে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রবীণ সাবেক কয়েক বারের চেয়ারম্যান এস এম ফারুক বখ্ত এদের মধ্যে অন্যতম ভূমিকা পালন করছেন।
চেয়ারম্যান ফারুক বখ্ত কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, তার নিজ অর্থায়নে গেইট সংলগ্ন লাইব্রেরী ও প্রধান ফটক রং সহ বিভিন্ন ফার্নিসার দিয়ে সাজানোর চেষ্টা করছি। কারণ দেশ বিদেশ থেকে বিভিন্ন মিডিয়ার কর্মি ও পর্যটক প্রায় এখানে পরিদর্শনে আসেন। আমি তাদের সুন্দর একটা বসার ব্যাবস্থা ও মেহমানদারি করার চেষ্টা করি। আমি একজন সামাজিক মানুষ, দেশ বিদেশের মানুষের চিন্তা করে আমি এগুলো করছি।
অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালককে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রায় ১০০ জনের জনবল। দীর্ঘ ৭ বৎসর অতিবাহিত হতে চলছে ২৬ জনের কোন বেতন ভাতাদি হয় নাই। বাকি লোকজন কিভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২০০ শত বহি প্রকাশ হয়েছে। এরমধ্যে ২টা আন্তর্জাতিক জার্নাল ১টা রবিন্দ্র জার্নাল যার প্রকাশিত সংখ্যা -৮২, অন্যটি দ্রোহী জার্নাল, যার প্রকাশিত সংখ্যা ৩৭, অথচ এখানে কোন প্রিন্টিং প্রেস নাই, যা আশু জরুরি।
এখানে আরও বেশ কিছু সামগ্রীসহ কিছু অবকাঠামো বাকি রয়েছে তার মধ্যে ক্রীড়া কমপ্লেক্স, অডিটোরিয়াম, আন্তর্জাতিক মানের ডরমিটরি এবং বিশ্ব মানের একটা লাইব্রেরী আর্কাইভস অতীব জরুরি। এলাকার সাধারণত মানুষের দাবি সরকারের কাছে যতদ্রুত সম্ভব আমাদের উত্তর বঙ্গের অহংকার আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের সকল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করবেন। রা/অ