মঙ্গবার, ০৩ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১১:৪১ pm
এম এম মামুন :
রাজশাহীর পবা উপজেলায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র দখল করতে বোমা বিস্ফোরণে কেন্দ্রের চারদিকে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন (৪৮) ও নওহাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান হাফিজসহ ৩১ জনকে আসামি করে পবা থানায় বোমা বিস্ফোরণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পবা উপজেলার বাঘাটা গ্রামের আতাবুর রহমান বাদি হয়ে গত শুক্রবার থানায় বিষ্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে বাদি বলেন, গত ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে নওহাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নওহাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের কাছে নির্বাচন শুরুর পর সকাল সোয়া ৮টায় দুইটি ককটেল বিষ্ফোরক করা হয়। এসময় ভোটাররা ছুটোছুটি শুরু করে। এক পর্যায়ে আসামীরা কেন্দ্র দখল করে। এসময় বাদি আতাবুর রহমানসহ অন্যান্য ভোটারা বাধা প্রদান করতে গেলে মামলার ১ নম্বর আসামী সাবেক সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিনের নাম নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশের সহায়তায় আতাবুল ও তার সাথে থাকা অন্যান্য ভোটাররা কেন্দ্রের বাইরে বের হলে সেখানে আবারও আসামিরা হামলা চালায় ও বোমা বিষ্ফোরণ ঘটায়।
মামলার বিলম্বের কারণ হিসেবে বাদি আতাবুল বলেন, ওই সময় মামলা করতে গেলে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের চাপে মামলা নিতে অস্বীকার করেন তৎকালীন পবা থানা পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন, নওহাটা গ্রামের কাওছার আলী (৫১), দিদার হোসেন ভুলু (৪৪) মো. আজিজুল হক (৪৩), মো. নাজমুল বারেক (৪০) মো. রুমেল (৩৮), মাসুদ (৪২), বাগধানী গ্রামের গ্রামের মো. সোহেল রানা, নওহাটা মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের মো. আলতাব হোসেন (৫৫), কাজিপাড়ার কাজী মোজাম্মেল হক (৪৫), বাঘাটা গ্রামের মো. সুমন (৪০), পলাশ (৩৮), এয়ারপোর্ট থানার মহানন্দখালী গ্রামের মো. রসুল (৩৮), মো. আইনুদ্দিন (৪১), উজ্জল (৩৭), বজলু (৪৪), শাহমখদুম থানার ভুগরইল গ্রামের মো. রাব্বি (২৮)।
এছাড়াও মামলার আসামি রয়েছেন রাব্বি (৩০), পিপুল (৩৫), রনি (৩২), সোহান (৩০), আলেফ (৫২), মো. বিপ্লব (৩২), পথিক রাজু (৩০), মব (২৭), মো. শাহীন (৪৮), আব্বাস আলী ও মো. ইসরাফিল (২৮)।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে হয়নি বলে জানান ওসি। রা/অ