বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:০০ pm
মোহাম্মদ জাকির হোসেন বাবলু, দুর্গাপুর :
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন। চলতি বছরের গত ১৯ আগস্ট যোগদানের প্রথম সপ্তাহে সারাদেশের ন্যায় দুর্গাপুরে কিছু স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাতে পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়।
সম্প্রতি শেখ হাসিন দেশ ত্যাগের পর প্রায় প্রতিদিন ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা প্রশাসন চত্বরে অবস্থান নিত। এহেন অবস্থায় ইউএনও সাবরিনা শারমিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো শুনতেন এবং লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ প্রদান করতেন। এভাবে তিনি প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের সমস্যার সমাধানের জন্য সকলকে ডেকে আলোচনায় বসতেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন। উপজেলাজুড়ে সরকারি অনেক খাসপুকুর নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
তিনি উভয়পক্ষকে ডেকে সমঝোতা করেন। লীজ গ্রহীতার আগ্রহ থাকলে তাকে তার মেয়াদ পর্যন্ত পুকুর দখল নিশ্চিত করে দিয়েছেন। পুকুর সংক্রান্ত কোনো চাঁদাবাজি অভিযোগ পেলে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনসাধারণের আস্থা অর্জন করেছেন। উপজেলাজুড়ে যেকোনো প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির নিকট হইতে চাঁদাবাজি রোধে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করেন। যেকোনো স্থানে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট ও সরকারি বৃক্ষ কর্তন হলেই সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সরকারি সহায়তার খাদ্য, টিসিবি পণ্য বিতরণ, দরিদ্রদের জন্য স্বল্পমূল্যের চাউল বিতরণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করে চলেছেন তিনি। দুর্গাপুরের জনসাধারণ যেকোনো সমস্যায় ভোগান্তি ছাড়াই তার নিকট উপস্থাপন করে সুফল পাচ্ছেন মানুষ।
ইউএনও সাবরিনা শারমিন তদবির ও চাপ উপেক্ষা করে সততা নিষ্ঠার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সকল স্তরে জনগণ আর আস্থার প্রতিক হয়ে উঠেছেন।
দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রফেসর জোবায়েদ হোসেন বলেন, ইউএনও মহোদয় একটা বেসামাল পরিস্থিতিতে যোগদান করেও তিনি সততা আর দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সমগ্র সেক্টরে স্বাভাবিক অবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থক হয়েছেন এবং একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি ও আমার দল তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতেও করব ইনশাআল্লাহ।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন বলেন, দুর্গাপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে দুর্গাপুর পৌরসভার প্রশাসক ও এসিল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করছি। এতো সব দায়িত্ব মানুষের ন্যায় নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠায় কাজ কাজ করে যাব ইনশাল্লাহ। রা/অ