শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:০৭ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
গণসাক্ষরতা অভিযান ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (ব্র্যাক-আইইডি)-এর যৌথ আয়োজনে ২০ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, ঢাকা-এর সম্মেলন কক্ষে “প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন: আমাদের করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গণসাক্ষরতা অভিযান-এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অতিথি প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহিত কামাল, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র চিফ কনসালটেন্ট (সাইকিয়াট্রি এন্ড সাইকোথেপারি), ল্যাব এইড কার্ডিয়াক হসপিটাল; চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, সদস্য, প্রাইমারী এডুকেশন কনসাল্টেশন কমিটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়; ড. ইরাম মারিয়াম, নির্বাহী পরিচালক, ব্র্যাক-আইইডি; প্রফেসর এম. নাজমুল হক, ডিরেক্টর, টিচার ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট এবং শাহিনুর আল-আমিন, সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাইমারী স্কুল এসিস্ট্যান্ট টিচার সোসাইটি।
অনুষ্ঠানে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কর্মসূচির উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন তপন কুমার দাশ, উপ-পরিচালক, গণসাক্ষরতা অভিযান। তিনি বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যা বা ট্রমার প্রকৃতি ও ধরন নির্ণয়; মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও নীতি প্রভাবিত করার জন্য সুপারিশ তৈরি এবং তথ্য বিস্তরণের কৌশল সম্পর্কে মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে।
সংগৃহীত মতামত ও তথ্যের আলোকে “প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন: আমাদের করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন আব্দুর রউফ, কার্যক্রম ব্যবস্থাপক, গণসাক্ষরতা অভিযান।
এছাড়াও উপস্থিত অতিথিদের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত আলোচনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, এসএমসি সদস্য, উন্নয়নকর্মী, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, অভিযান সদস্য সংগঠন, এডুকেশন ওয়াচ, আইএনজিও, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন।
উপস্থিত অংশগ্রহণকারীগণ এ মতবিনিময় সভাকে যুগোপযোগী হিসেবে উল্লেখ করেন। আলোচনায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক অস্থিরতা বা ট্রমার প্রকৃতি ও ধরন নির্ণয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা, সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা, শিক্ষক, অভিভাবক ও কমিউনিটির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো ও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
আলোচনায় এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা, শিক্ষকদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া, বিদ্যালয়ে কাউন্সেলিং সেবা চালু করা, অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা এবং তাদেরকে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা, স্থানীয় সমাজসেবকদের সঙ্গে কাজ করে কমিউনিটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও বিদ্যালয়ে একটি স্বাস্থ্যকর ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ব্যাপারে অভিমত প্রকাশ করা হয়। রা/অ