রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৪৭ pm
এম এম মামুন :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট বালিকা উচ্চ ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে নিয়োগ–বাণিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষা সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।
মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এবং প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বিদ্যালয়ের নিয়োগ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৯৭ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সরকারি টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৫০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের কোন কাজ না করে আত্মসাত করেন। চর্তুথ শ্রেণির কর্মচারী নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগে ১৪ লাখ টাকা, অরেক চর্তুথ শ্রেণির কর্মচারী আয়া পদে নিয়োগ দিয়ে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বিদ্যালয়ের মার্কেটের দোকানঘর ভাড়ার ৬০ হাজার টাকা। স্কুলের প্রধান গেট নির্মাণের বরাদ্দের ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে ৩ লাখ টাকা এবং সরকারি অনুদানের ৫ লাখ টাকা সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ মিলে সম্পূর্ণ অর্থ আত্মসাত করেন।
কেশরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে আমি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত নেই। আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর বিদ্যালয়ের উন্নয়ন করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কেউ অভিযোগ করে থাকলে অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত হোক। যদি আমি অপরাধী হয়ে থাকি তাহলে বিচার হবে।’
এ ব্যাপারে কেশরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও কেশরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেশরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি আয়শা সিদ্দিকা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ রা/অ