শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৫৯ am
এম এম মামুন :
রাজশাহীতে অবিরাম ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ আর উলুধ্বনির মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে সিঁদুর উৎসব। হিন্দু নারীদের ভিড় উপচে পড়ছে মণ্ডপে। দেবী দুর্গার চরণে ভক্তি নিবেদন শেষে তাঁরা একে অন্যকে সিঁদুর পরাচ্ছেন। তখন হাসি-উচ্ছলতায় ভরা আনন্দঘন পরিবেশ, অথচ এর মধ্যেও যেন বিষাদের সুর বাজছে। কারণ, মা দুর্গা যে চলে যাচ্ছেন।
একই দিনে ছিল দুই লগ্ন। শনিবার সকালে নবমী তিথির লগ্ন শেষ হয়ে শুরু হয় বিজয়া দশমীর লগ্ন। তাই শারদীয় দুর্গোৎসবের চারদিনের উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো তিনদিনেই। এখন মণ্ডপে মণ্ডপে বিষাদের সুর। এই বিষাদের মধ্যে স্বামী-সন্তানের মঙ্গল কামনায় সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন রাজশাহীর নারীরা। সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে শঙ্খধ্বনি ঢাক-কাসরের সুর আর পুরোহিত ভক্তদের পূজা অর্চনার মধ্যদিয়ে রাজশাহীর মণ্ডপে মণ্ডপে বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। মণ্ডপগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে দশমী বিহিত পূজা। এরপরই দুর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গার বিদায়ের প্রহর শুরু হয়েছে।
সকালে নগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, নারীরা নেচে-গেয়ে সিঁদুর খেলায় মেতেছেন। পাশের দেবমাতা পূজামণ্ডপে গিয়েও একই দৃশ্য দেখা যায়। বিবাহিত নারীরা একে-অপরের কপালে সিঁদুর দেওয়ার খেলায় মেতে ওঠেন। বিবাহিত নারীরা অঞ্জলী শেষে দেবী দুর্গার মতো স্বামীর দীর্ঘায়ু ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় একে অপরকে সিঁদুর মাখিয়ে দেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, সিঁদুর ব্রহ্মার প্রতীক। ব্রহ্মা জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করে আনন্দে ভরে রাখেন বলেই সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করা হয়।
সিঁথিতে সিঁদুর পরলে কপালে ব্রহ্মা অধিষ্ঠান করেন বলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন। এই কারণে দশমীর দিন সিঁদুর খেলার প্রচলন। মর্তলোক ছেড়ে দশভুজা দেবী দুর্গার বিদায় দশমীর দিনেই হয়ে থাকে। তবে এবার কিছুটা ব্যতিক্রম। রাজশাহীর বেশ কয়েকটি মণ্ডপে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামীকাল রোববার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব। রা/অ