বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:১০ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ পুঠিয়ায় ভুয়া ডাক্তার ধরে প্রাননাশের হুমকির মুখে সাংবাদিকরা রাজশাহী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন তানোর থানায় দালালের দৌরাত্ন্য বৃদ্ধি, অসহায় মানুষ দুর্গাপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আটক ৩ জনের কারাদণ্ড গ্রাহকের ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বন্ধু মিতালীর চেয়ারম্যানসহ আটক ৪ রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে আ.লীগকে দূরে রাখতে ছাত্রনেতাদের চাপ অর্ন্তবর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ না হওয়ার আহ্বান বিএনপি নেতাদের তানোরে সরকারি কর্মকর্তা ও সুধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সাম্প্রতিক সময়ে অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে সচেতন নাগরকবাসী নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৮ জন গ্রেপ্তার ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে : বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম দুর্গাপুরে পৃথক অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ৪ জন গ্রেপ্তার রাজশাহীতে শিক্ষা বোর্ড পরির্দশক অপসারণ দাবিতে অভিযোগ ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলায় মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে মধুপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ৪ জন নিহত অসুস্থ রেজওয়ানুল ইসলাম রায়হানের শয্যাপাশে দুধরচকী
পবায় বাল্যবিবাহ করতে গিয়ে বর-বাবা কনের খালু কারাগারে

পবায় বাল্যবিবাহ করতে গিয়ে বর-বাবা কনের খালু কারাগারে

এম এম মামুন :
রাজশাহীর পবা উপজেলায় বাল্যবিবাহ করতে এসে বর, বরের বাবা ও কনের খালুকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বরের বয়স ৩০ বছর। তিনি আগেও দুটো বিয়ে করেছিলেন। এবার এসেছিলেন তৃতীয় বিয়ে করতে। ১৩ বছর বয়সী কনের বাবা নেই। খালু আয়োজন করেছেন বিয়ের। বরযাত্রীদের খাওয়া-দাওয়া চলছে। এ খবর চলে যায় রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহরাব হোসেনের কাছে। সেখানে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বর, বরের বাবা ও কনের খালুকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) পবা উপজেলার বাগশৈল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে ওই কিশোরীকে পবা উপজেলার বায়ায় অবস্থিত মহিলা ও শিশু–কিশোরী নিরাপদ হেফাজতিদের আবাসনে (সেফ হোম) পাঠানো হয়। দণ্ডিত বরের নাম আশরাফুল ইসলাম। তিনি বাক প্রতিবন্ধী। তাঁর বাবার নাম শুকুর উদ্দিন। বাড়ি পবা উপজেলার বাগশৈল গ্রামে। মেয়ের খালুর (পালক পিতা) নাম মো. জাফর আলী। তাঁর বাড়িও একই গ্রামে। মেয়ে পবা উপজেলার দারুশা পপুলার মডেল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয় লোকজন জানান, মেয়ের খালু জাফর আলীর নিজের মেয়ে ঢাকায় একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন; কিন্তু এখনো তাঁর বিয়ে দেননি। তবে মাত্র সপ্তম শ্রেণিতে পড়া পালক মেয়েকে ৩০ বছর বয়সী একজন বাক্প্রতিবন্ধীর সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছেন, যার আগেও দুজন স্ত্রী ছিলেন। মেয়ের মা তাঁর নানির বাড়িতে থাকেন। তিনিও এই বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন না।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জাফর আলী বাল্যবিবাহের আয়োজন করার বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে ভুল স্বীকার করেন। ছেলের বাবা শুকুর উদ্দিনের ভাষ্য, তাঁর ছেলেকে দুবার বিয়ে দিয়েছিলেন। প্রথম স্ত্রী চলে গেছেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী পছন্দ না হওয়ার কারণে ছেলে তালাক দিয়েছেন। তাঁর দাবি, এবারের বউ যাতে থাকে, সে জন্য তিনি ইতিমধ্যে মেয়ের নামে এক বিঘা জমি লিখে দিয়েছেন।

পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহরাব হোসেন বলেন, বালবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৭(১) ধারায় ছেলের, ও ৮ ধারায় অভিভাবকদের ছয় মাসের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিকেলে ছেলে, ছেলের বাবা ও মেয়ের খালুকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর মেয়েকে পাঠানো হয় সেফ হোমে। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.