মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩৯ pm
এম এম মামুন :
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) আওয়ামীপন্থী কর্মচারি পরিষদের সভাপতি ও সম্পাদক ভোল্ট পাল্টিয়ে বিএনপিপান্থী হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগ নেতা হাসিবুল ইসলাম ও ফরিদ হোসেন। ব্যাকডেটে একই তারিখ দিয়ে তারা রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার নাটক তৈরি করেছেন। তারা রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার নাটক সাজালেও দুইজনই রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) আওয়ামীপন্থী কর্মচারি পরিষদের সভাপতি ও সম্পাদক পদে রয়েছেন। শ্রমিক লীগের পদস্থ দুই নেতার ভোল্টপাল্টানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, রাকাবের আওয়ামীপন্থী কর্মচারি সংসদ ও বিএনপি পন্থী কর্মচারি পরিষদ রয়েছে। আওয়ামীপন্থী কর্মচারি সংসদের সভাপতি হাসিবুল ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন। এছাড়াও হাসিবুল রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগের শিক্ষা সাহিত্য ও গবেষনা সম্পাদক ও ফরিদ উদ্দিন সহ-সম্পাদকের পদে রয়েছেন। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামলীগ নেতারা পালিয়ে গেলে তাদের সাথে এই দুই নেতাও পলাতক ছিলো। পরে রাকাব কর্তৃপক্ষ হাসিবুলকে মোহনপুর ও ফরিদকে বাঘায় বদলী করে। যদিও পরে অলৌকিক শক্তির বলে ফরিদ বাঘা থেকে পুনরায় বদলী হয়ে রাজশাহীর কাজিহাতা রাকাবের শাখায় আসেন।
শ্রমিক লীগ নেতা হাসিবুল ইসলাম ও ফরিদ উদ্দিনের ভাষ্যমতে, তারা যুবদলের রাজনীতির সাথে সংপৃক্ত। রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগের নেতারা তাদের না জানিয়ে পদ দিয়েছেন। ২০২৪ সালের ১৩ এপ্রিল তাদের শ্রমিক লীগের পদ দেয়ার পর তারা ২০ এপ্রিল পদত্যাগ করেন। মজার বিষয় হলো এই দুই শ্রমিক লীগ নেতা নিজেদের বিএনপিপন্থী দাবি করলেও এখনো তারা রাকাবের আওয়ামীপন্থী সংগঠন কর্মচারি সংসদের সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, শ্রমিক লীগ নেতা হাসিবুল ইসলাম ও ফরিদ উদ্দিন গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর মহানগর শ্রমিক লীগের দপ্তর সম্পাদকের কাছে গিয়ে পদত্যাগ করবেন বলে জানান। এসময় সংগঠন থেকে জানানো হয়, পদত্যাগ করলে কেন্দ্রে করতে হবে। পরে তারা দুজনই ২০ এপ্রিল ব্যাক ডেটের তারিখ দিয়ে পদত্যাগপত্র তৈরি করে মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি, সম্পাদকের কাছে জমা দেন বলে প্রচারণা চালান। যদিও রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগের নেতারা বলছেন, তাদের পদত্যাগের বিষয়টি ভুয়া।
এব্যাপারে রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগের শিক্ষা সাহিত্য ও গবেষনা সম্পাদক হাসিবুল ইসলামের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমাকে জোর করে শ্রমিক লীগের পদ দিয়েছে। যার কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।
মহানগর শ্রমিক লীগের সহ-সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমাকে জোর করে মহানগর শ্রমিক লীগের পদ দেয়া হয়েছে। পরে সেখান থেকে আমি পদত্যাগ করেছি। তিনি রাজশাহী মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করে বলেন তারা আমার খালাতো ভাই। আমি যুবদল করতাম।
এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, হাসিবুল ও ফরিদ গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে পদত্যাগ জমা দিতে এলে সেটি না নিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। তারা এখন বিএনপিপন্থী সাজার চেষ্টা করছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এব্যাপারে রাকাব কর্মচারি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদিন জানান, এতোদিন যারা আওয়ামীপন্থী কর্মচারি সংসদের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা এখন বিএনপির কিছু হাইব্রিড নেতাদের সাথে মিশে কর্মচারি পরিষদ হাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন। শ্রমিক লীগের পদস্থ নেতারা এখন বিএনপি সেজে বসেছেন। রা/অ