ড. পারভেজ জানান, ১৪ মার্চ অসুস্থ হলে ড. শামসুন নাহারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন করোনা রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসলেও ডাক্তাররা অনুমান করেন পূর্বে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৭ মার্চ রামেক থেকে রিলিজ পান।
এরপর ৮ এপ্রিল তাঁর করোনা রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসে। বাড়িতে থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। রোববার বাদ এশা দরগাহপাড়া জামে মসজিদে জানাজা শেষে নগরীর হেতেমখাঁ গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এর আগে বোন শামীমা ফেরদৌস করোনায় আক্রান্ত হয়ে রামেক আইসিইউতেই মৃত্যুবরণ করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। উপাচার্য উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায় অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, তাঁর মৃত্যুতে দেশ এক অন্যতম মেধাবী উদ্ভিদবিজ্ঞানী, সাইটোট্যাক্সনমিস্ট ও শিক্ষাবিদকে হারালো।
অধ্যাপক শামসুন নাহার ১৯৪৯ সালে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে ১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালে যথাক্রমে বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি এবং ১৯৮২ সালে ভারতের হায়দ্রাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগ দেন ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। দীর্ঘ অধ্যাপনা জীবনে তিনি রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ (১৯৮৬-১৯৮৮) ও বিভাগীয় সভাপতি (২০০৯-২০১২) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
ড. শামসুন নাহারের গবেষণার বিষয় ছিল সাইটোট্যাক্সনমি। তিনি প্রায় ৫০টি মাস্টার্স গবেষণা তত্ত্বাবধান করেছেন। এছাড়া দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পিয়ার-রিভিউড জার্নালে তিরিশের অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। আজকের তানোর