রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:২২ am
এম এম মামুন :
ররাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর মাঝারদিয়াড়ে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ চার শ্রমিকের মধ্যে দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় নদীর চরখানপুর এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।
উদ্ধার হওয়া দুইজন হলেন- চর মাজারদিয়াড় এলাকার এনামুলের ছেলে রাজুু (২১) ও খলিলের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩০)। হরিপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় রাজশাহী শহরের ওপারে চর মাজারদিয়াড় এলাকায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকায় থাকা ১৬ জন শ্রমিকের মধ্যে ১২ শ্রমিক সাঁতরে পাড়ে গেলেও নিখোঁজ ছিলেন চারজন। রাতেই রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ওই এলাকায় গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সোমবার বেলা ১১টার পর উদ্ধার অভিযান শেষ হয়।
স্বজনরা জানান, একই পরিবারের তিনজন মারা গেছে। নদীতে সারারাত খোঁজাখুঁজি করেছে। যারা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে তারা বেঁচে থাকলে এতোক্ষণ পাওয়া যেত। কিন্তু একজনকেও পাইনি। লাশগুলো পেলেও মনে সান্ত্বনা পেতাম।’
এভাবে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন পদ্মা নদীতে নিখোঁজ রাজুর নানী আশরাফুন বেগম ( ৭০)। আশরাফুন বেগম সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী নগরীর গুড়িপাড়ার চর মাজারদিয়াড় ঘাটে এভাবে কথাগুলো বলছিলেন।
তিনি বলেন, তারা মধ্যচরে জমিতে টমেটো লাগিয়ে সন্ধ্যায় নৌকায় বাসায় ফিরছিল। এ সময় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এরপরে তারা সাঁতরে সবায় পাড়ে উঠেছে, চারজন উঠতে পারেনি। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, চর মাজারদিয়াড় এলাকার এনামুলের ছেলে রাজুু (২১), এন্তাজুলের ছেলে সবুজ (২১), খলিলের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩০) ও কালামের ছেলে ফারুক (১৮)। জানা গেছে, রাজু ও সবুজ চাচাতো ভাই। মোহম্মদ আলী রাজুর দুলাভাই। রাজুর প্রতিবেশি ভাই হয় ফারুক।
এ বিষয়ে পবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধারের কাজ করছে। রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক একেএম মুর্শেদ জানান, নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না। আপাতত অভিযান আর চালানো হবে না। রা/অ