রবিবর, ১৫ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:১২ am

সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগদান করতে পারেননি রাজশাহী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ নির্দিষ্ট সময়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে : অধ্যাপক মজিবুর মোহনপুরে দুর্বৃত্তদের আগুনে মুদির দোকান পুড়ে ছাঁই এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি আরেক ফ্যাসিস্টকে জায়গা দিতে নয় : সারজিস মোহনপুরে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে স্কুলের সিসি ক্যামেরাসহ জিনিসপত্র ভাংচুর বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ জীবন : লেখক, দুধরচকী চেয়ারম্যান-ইউএনও-প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে দূর্নীতির অভিযোগ রামেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা রাবির ছাত্রলীগ নেতা পঙ্গু মাসুদ হত্যা ঘটনায় থানায় মামলা নগরীতে দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধন করলেন রাসিক প্রশাসক বাগমারার সাবেক দুই এমপিসহ ৭৩ জনের নামে মামলায় ১ জন গ্রেপ্তার বাগমারায় চাঁদা নিতে এসে সেনা ক্যাম্পের ঝাড়ুদার আটক রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য জাওয়াদুল হক ক্ষতিগ্রস্ত নগর ভবন পরিদর্শন করলেন রাসিক প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনার নির্বাচন হলে কাকে ভোট দেবেন, জরিপে এগিয়ে জামায়াত দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত রাজশাহীর শিল্পীরা গাজার ৮০ শতাংশই বাসিন্দা বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিশেষ নিরাপত্তা বাতিল এবার অবস্থান নিয়ে প্রতীকি ক্লাস-পরীক্ষা দিলেন নাসিং শিক্ষার্থীরা ছাত্ররা ব্যস্ত রাষ্ট্র সংস্কারে, আর পতিত গোষ্ঠী দখলদারিতে : চরমোনাই পীর
রাজশাহীতে পাটের দামে চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক

রাজশাহীতে পাটের দামে চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক

এম এম মামুন :
রাজশাহীতে চলতি মৌসুমে পাটের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি নিয়ে মাঠে মাঠে পাট কাটা, জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষি ও শ্রমিকরা। জেলার উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পাট। গত বছরের তুলনায় এবার পাটের দাম বেশি হওয়ায় খুশি চাষিরা। বাজারে মানভেদে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর রাজশাহীতে পাট চাষ হয়েছে। এবছর জেলায় ১৭ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আর গত বছর পাট চাষ হয়েছিল ১৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। সেই হিসেবে পাটের চাষ কমেছে ২ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমির। এবার পাট চাষে অনুকূল আবহাওয়া ছিল।

পাট চাষীরা জানান, পাটের হাট সাধারণত ভোর বেলায় বসে। হাটবারে বিভিন্ন উপজেলার ধান কেনা-বেচা হয়। ভোর থেকে শুরু হয়ে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যেই পাট কেনা-বেচা শেষ হয়ে যায়। এরপর ওই স্থানে হাটের অন্য জিনিসপত্র কেনা-বেচা হয়। বাঘা উপজেলায় বসে দিঘাহাট। এই হাটে পাট কেনা-বেচা হয়েছে প্রকার ভেদে ২ হাজার ৩শ’ থেকে ২ হাজার ৮শ’ টাকা মণ দরে।

ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গত বছর পাটের ভালো দাম পেয়েছেন চাষিরা। এই দাম মৌসুমের শেষের দিকে আরও বেশি ছিল। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ পাটের দাম গড়ে ২০০ টাকা বেশি। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ধারণা এবার শেষ পর্যন্ত আশানুরূপ পাটের দাম পাবেন তারা।

বাঘার দিঘাহাট পাট বিক্রি করতে আশা মকুল হোসেন বলেন, পাটের বীজ বপনের সময়ে বৃষ্টিপাত ছিল না। ফলে অনেকের পাটের বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া অনেকেই পানির অভাবে পাটের বীজ বপন করেননি। তবে দুই সপ্তাহ আগেও পাট জাগ দেওয়া নিয়ে এক দুশ্চিন্তা ছিল। কিন্তু বৃষ্টিপাতের ফলে খালবিলে পানি জমায় সেই চিন্তা কেটে গেছে। এ বছর এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয়েছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন ধরা হচ্ছে ৭ থেকে ৮ মণ করে।
বাউসা আমরপুর গ্রামের পাট চাষি আমিরুল ইসলাম বলেন, জমিতে পানি থাকায় পাট কাটা শ্রমিকদের বেশি মজুরি দিতে হচ্ছে। বর্তমান বাজারে মানভেদে প্রতি মণ পাটের দাম ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা। এই এলাকার চাষিরা খুব একটা যত্ন নিয়ে পাট ধোয়ার কাজ করেন না। এতে করে অন্য জেলার পাটের মানের চেয়ে আমাদের পাটের মান ও রঙ ভালো হয় না।
বাউসা হেদাতিপাড়া গ্রামের মকসেদ আলী জানান, গত শুক্রবার দিঘাহাটে ভ্যানে করে ৬ মণ পাট ১২ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। তবে তার মধ্যে ভ্যান খরচ ও খাজনা দিতে হয়েছে। হাটে বাজারে পাটের চাহিদা ভালো আছে। বিক্রি করতে কোনো সমস্যা নেই।

পাট ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, নওগাঁয় প্রতি মণ পাটের দাম আমাদের চেয়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বেশি। কিন্তু এই এলাকার পাটের মান ভালো না হওয়ার কারণে দাম তুলনামূলক কম পাচ্ছেন চাষিরা।

পাট সংরক্ষণকারী দিঘা গ্রামের ব্যবসায়ী আজিজুল হোসেন বলেন, পাট কিনতে শুরু করেছি। চাহিদা ভালো আছে। এবার অন্য এলাকার পাট কম চাষ হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে স্থানীয়ভাবে পাটকল। এছাড়াও বিভিন্ন মোকামে পাটের চাহিদা আছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, এবার পাটের উৎপাদন ভালো হয়েছে। শুরু থেকেই পাটের ভালো দামও আছে। আশা করছি, চাষিরা ভালো লাভবান হবেন। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.