রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৩৮ pm
ডেস্ক রির্পোট : হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেফতারের সময় হাতকড়া পরানো হয়নি। ‘আপনাকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে’- পুলিশের এ কথার পর তিনি শান্তভাবে হেঁটে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে আসেন।এসময় আশপাশের পরিবেশও ছিল স্বাভাবিক।
দীর্ঘ নজরদারি শেষে মামুনুলকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্তের পর শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাত থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার আশপাশে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন অবস্থান নেন। সকালের দিকে মাদ্রাসা এলাকায় বাড়ানো হয় পুলিশ সদস্যের সংখ্যাও। প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই মামুনুলকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়।
পুরো সময়ে তাকে কেন হাতকড়া পরা হয়নি- এমন প্রশ্নে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ বলেন, মামুনুল হককে গ্রেফতার করাটাই মুখ্য বিষয়। তাকে গ্রেফতার করে আমরা নিয়ে এসেছি। এসময় তাকে হাতকড়া পরানো বা না পরানোর নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই।
নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামি হেফাজত নেতা মামুনুলকে গ্রেফতারের সময় হাতকড়া পরানো না হলেও সাংবাদিক প্রবীর সিকদার, ফটোসাংবাদিক কাজল, কার্টুনিস্ট কিশোর, কারাগারে মৃত্যুবরণকারী লেখক মুশতাক কিংবা খুলনার শ্রমিক নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রুহুল আমিনকে গ্রেফতারের সময় ঠিকই হাতকড়া পরানো হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলের মধ্যে।
এর আগে সংশ্লিষ্টরা জানান, মামুনুলকে গ্রফতারে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন-অর-রশীদসহ কয়েকজন মাদ্রাসার ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে মামুনুল হককে বলা হয়, ‘আপনাকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে’। পরে মামুনুল হক স্বাভাবিকভাবেই হেঁটে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে আসেন।
মামুনুলের হাতে গ্রেফতারের সময় হাতকড়া পরানো হয়নি। তার সঙ্গে মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষককে হেঁটে আসতে দেখা যায়। এসময় মামুনুল স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এগিয়ে যান। মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার পর একটি গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিসি হারুনের কার্যালয়ে।
বের হওয়া ও গাড়িতে তোলার সময় হেফাজত কিংবা মাদ্রাসার কেউই মামুনুলের গ্রেফতারে বাধা দেয়নি। তবে মামুনুলকে গাড়িতে তোলার পর কয়েকজনকে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে ডিসি হারুন-অর-রশিদ বলেন বলেন, মামুনুলকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়েছে। এসময় আমরা কোনো বাধার সম্মুখীন হইনি।
এদিকে, মামুনুলের গ্রেফতারের পর মোহাম্মদপুর মাদ্রাসার সামনে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে নারীসঙ্গীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হওয়ার পর ছাড়া পেয়ে রাতেই ঢাকায় চলে আসেন তিনি। ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিংয়ের নিজ বাসায় না গিয়ে তিনি পাশেই জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় যান।
মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করতে পারে- এ কারণে পাশেই নিজের বাসা হলেও তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন না। পরে দীর্ঘ নজরদারির পর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। সূত্র : বাংলানিউজ।