রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:১৮ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর মোহনপুরে বিল দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে সাতজনকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সোমবার বিকেলে উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের শুটকি বিল ও ডুবির বিলে মাঝের তুলসী ক্ষেত্রবাঁধে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা তাতী দলের সদস্য সচিব কামরুজ্জামান হেনা, স্থানীয় বিএনপি নেতা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের শাহ আলম সরকার সবুজ, হাততোড় গ্রামের জনাব আলী, জেকের আলী, শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম, ডাংগাপাড়া গ্রামের নিরেণ হালদার, প্রসনজিৎ, গোয়ালপাড়া গ্রামের দিলদার। তারা সবাই স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে আহত বিএনপি নেতা শাহ আলম সরকার বাদি হয়ে ৩০ জনের উল্লেখ করে ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মোহনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে অজ্ঞাত আসামী রয়েছেন ১৫০ জনকে।
মোহনপুর থানার ওসি (তদন্ত) আছের আলী বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। হামলাকারীরা যেই হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত উপজেলা নির্বাচনের পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালেকের নেতৃত্ব তার লোকজন শুটকি বিল ও ডুবির বিলে মাছ চাষ করে। মাছ চাষের জন্য তারা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লিজ নেয়।
সোমবার বিকেলে বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান হেনা নেতৃত্বে শাহ আলম সরকার সবুজ, হাকিম, জনাব, জেকের, নিরেন, প্রসনজিৎ ও দিলদারসহ ২৫/৩০ জন বিলে যায়। খবর পেয়ে আব্দুল মালেক লোকজন নিয়ে গিয়ে তুলসী ক্ষেত্রবাঁধে তাদের বাধা দেয়। এ সময় সেখানে উভয়পক্ষে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। একই সঙ্গে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
বিএনপি নেতা শাহ আলম সরকার বলেন, দলীয় প্রভাব ও হুমকি দিয়ে এই দুই বিলে মাছ ধরা থেকে জেলেদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। ফলে অসহায় ও মানবেতর জীবন-যাপন করছে এ এলাকার জেলে পরিবারগুলো। এ কারণে আমরা বিলটি উন্মুক্ত করার জন্য গিয়েছিলাম। এ সময় বিএনপি নেতা আব্দুল মালেক তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালান। আমাদেরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে তারা।
আব্দুল মালেক বলেন, মাছ চাষ করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনিল নামের একজন বিল লিজ নেয়। স্থানীয় জেলেরা বিল লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছে। কয়েক লাখ টাকার মাছ ছাড়া হয়েছে দুই বিলে। সেখানে প্রায় কোটি টাকার মাছ আছে। সেই বিলে গিয়ে তারা বানা (মাছ ধরে রাখার বেড়া) কাটতে লাগে। স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রা/অ