বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৪৮ pm
আজকের তানোর ডেস্ক :
পারিবারিক নির্যাতনে পিষ্ট হয়ে অনেক নারী ভাগ্য ফেরাতে বিদেশ যাচ্ছেন। স্বামীর নিগ্রহের শিকার নারীদের কেউ কেউ বিদেশে গিয়েও পড়ছেন নানা নিপীড়নের মধ্যে। বাধ্য হয়ে, পালিয়ে, শারীরিক বা মানসিক অসুস্থ হয়ে কিংবা লাশ হয়ে ফিরে আসছেন অনেকে। করোনাকালে এমন ফিরে আসা নারীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেড়ে গেছে। দেশে ফিরে সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ নানা দুর্ভোগে আছেন নারী কর্মীরা।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ২০১৯ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে খালি হাতে ৩ হাজার ১৬৪ জন নারী দেশে ফিরে এসেছিলেন। আর গত বছর ফিরে এসেছেন ৫০ হাজারের বেশি নারী কর্মী, তবে এর মধ্যে চুক্তি শেষে ফিরে আসা নারীরাও আছেন। ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডও একই তথ্য দিচ্ছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ফিরেছেন ৬৯৫ জন নারী কর্মী। এরপর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নানা কারণে দেশে ফিরে এসেছেন আরও প্রায় ৫০ হাজার নারী।
বেশির ভাগ নারী কর্মী যান সৌদি আরবে। যাঁরা কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যান বা অবৈধ হয়ে পড়েন, তাঁদের উদ্ধার করে বিভিন্ন বহির্গমন শিবিরে রাখে সৌদি পুলিশ। আর গৃহকর্তা মামলা করলে কারাগারে যেতে হয় নারী কর্মীদের। এরপর তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কর্মকর্তারা বলছেন, পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছরই এক লাখের বেশি নারী কর্মী বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছেন। এর মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কর্মী যান সৌদি আরবে। তবে গত বছর করোনার কারণে নারী কর্মীরও যাওয়া কমেছে। এ সময় ২০ হাজারের মতো নারী কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশ গেছেন।
বাংলাদেশ অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন (বমসা) ও বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র বলছে, যাঁরা বাসায় থেকে কাজ করেন, তাঁদের ওপর করোনাকালে কাজের চাপ ও নির্যাতন বেড়েছে। অনেক নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। পালিয়ে হলেও তাঁরা ফিরে আসছেন। আর যাঁরা মেসবাড়িতে থেকে কাজ করতেন, তাঁরা করোনার শুরুতেই কাজ হারিয়েছেন।
দিকে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তা বলছেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে গৃহকর্মী নারীদের ওপর নির্যাতন কমিয়ে আনা হয়েছিল। করোনার প্রভাবে নারীদের ফিরে আসা ও অভিযোগ কিছুটা বেড়েছে। সূত্র : প্রথমআলো