শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:১২ am
শহিদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক) নাচোল :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টাকালে স্থানীয়দের হাতে আটক হলে অভিযুক্তকে ইউপি সদস্য ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নাচোল উপজেলার কসবা ইউপির এলাইপুর গ্রামে সালিশের নামে এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ওই এলাকার ইউপি সদস্যসহ গ্রাম্য মাতব্বরদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টায় ওই নারীর সম্ভ্রম হানির মূল্য ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করে জরিমানা আদায়সহ জুতা পেটার রায় কার্যকর করেছেন তারা।
ভুক্তভোগী পরিবার, এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্য সহ মাতবরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ২৪ আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কসবা ইউপি ৫ নং ওয়ার্ড এলাইপুর গ্রামে ঐ নারীর বাড়িতে ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বখাটে ছেলে খায়রুল ইসলাম পানি পান করার উদ্দেশ্যে ওই নারীর বাড়িতে ঢুকে এবং একা পেয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করলে ওই নারীর চিৎকারে তার আত্মীয়স্বজন ছুটে এসে হাতেনাতে খায়রুল ইসলামকে আটক করেন।
এ সময় খাইরুল ইসলামকে ইউপি সদস্য মাজিবুল বিচারের কথা বলে জিম্মায় নিয়ে যায়। এই দিন রাতে ওই নারীর বাড়িতে সালিশি বৈঠকে বসেন ইউপি সদস্য মাজিবুল, সাবেক মেম্বার সুলতান, স্থানীয় ব্যক্তি আবুবাক্কার, বাবুল আক্তারসহ অন্যান্যরা।
সালিশি বৈঠকে অভিযুক্তকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় সহ জুতা-পেটা রায় কার্যকর করেন। এর মধ্যে ২২ হাজার টাকা ওই নারীকে প্রদান করেন এবং এক হাজার টাকা খরচ বাবদ গ্রাম্য পুলিশকে দেন।
ওই নারীর বাবা ও আত্মীয় স্বজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ওই সালিশে উপস্থিত থাকা মেম্বার মাজিবুলসহ অন্য মাতব্বররা বিচার করেছেন। সে অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে মেয়ের বাবাকে ২২ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং খরচ বাবদ গ্রাম্য পুলিশকে এক হাজার টাকা প্রদান করেন।
এ বিষয়ে নাচোল থানার ওসি বলেন, জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম্য মাতব্বররা এ ধরনের ঘটনা সালিশী বৈঠকে সমাধান করতে পারেন না। এমনকি এ ধরনের অপরাধের গ্রাম্য সালিশ ও ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। তিনি আরো জানান বাদী যদি থানায় অভিযোগ করতে আসে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রা/অ