সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:১৩ am
এম এম মামুন :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় স্বামীর মৃত্যুর পর বিধবা এক নারীর বাড়িঘর সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাসুরের বিরুদ্ধে। স্বামী মৃত্যুর পর তিন মাসের শিশু কন্যা সন্তান নিয়ে ১৫ মাস ধরে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিধবা ওই নারী। এ বিষয়ে বিধবা নারী মোহনপুর থানায় ভাসুর এনামুল হকের বিরুদ্ধে কয়েকবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি।
মোহনপুর উপজেলার সাকাঁয়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার সাঁকোয়া গ্রামের মৃত নইমুদ্দিনের ছোট ছেলে ইসমাইল হোসেনের সাথে একই উপজেলার আমরাইল সরদার পাড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের মেয়ে রাবিয়া খাতুনের সাথে বিয়ে হয়। সংসার করা অবস্থায় গত ২০২৩ সালের ১১ জুলাই তিন মাসের কন্যা সন্তান ইসরাত জাহানকে রেখে ইসমাইল হোসেন মারা যান। স্বামী মৃত্যুর পর তিন মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে বিধবা রাবিয়া স্বামীর বাড়িতে থাকা অবস্থায় মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় বড় ভাসুর এনামুল হক তার উপর ব্যাপক অত্যাচার করতে থাকে। বিষয়টি প্রতিবেশী ও ছোট ভাসুর ইব্রাহিম হোসেনকে জানায়। প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এনামুল হক তার ছোট ভাই ইব্রাহিম হোসেনকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে বিধবা রাবিয়া বড় ভাসুর এনামুল হকের অত্যাচারে স্বামী বাড়িতে থাকতে না পেরে তিনমাসের শিশু সন্তান নিয়ে আমরাইল বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
সম্প্রতি এনামুল হক জোর করে বিধবা রাবিয়ার বাড়ির দরজা ও প্রচীর ভেঙ্গে রাস্তা বের করতে থাকে ওই সময় রাবিয়া বাঁধা দিতে গেলে তার সাথে খরাপ আচরণ করে বাহির করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে মোহনপুর থানায় অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি বিধবা রাবিয়া।
প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর বিধবা রাবিয়া তার শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকা অবস্থায় বড় ভাসুর এনামুল হকের অত্যাচারে থাকতে না পেরে বাবা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এমন কি তার ভাগের আম,কাঁঠাল,লিচু থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ ফসল বিধবা নারীকে না দিয়ে এনামুল হক জোর করে ভোগ দখল করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে ছোট ইব্রাহিম হোসেনসহ প্রতিবেশীরা প্রতিবাদ করে কোন প্রতিকার হচ্ছে না।
বিধবা নারীর ছোট ভাসুর ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ছোট ভাই ইসমাইল হোসেনের মৃত্যুর পাঁচদিন পর থেকে বড় ভাই এনামুল হক, তিনমাসের শিশু সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাঁকোয়া গ্রামে এনামুল হকের সাথে বেশ কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে,তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক বিষয় হওয়ায় বিধবা নারীকে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রা/অ