শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৪২ am
মোস্তফা কামাল (নিজস্ব প্রতিবেদক) মোহনপুর :
মোহনপুরের ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ, নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে (২৪ আগষ্ট) মোহনপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনটি করেন ওই প্রতিষ্ঠানের বৈষম্যের শিকার শিক্ষক, অবিভাবক ও বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা।
মাদ্রাসার সহকারি মৌলভী এস এম এ রউফ সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত অধ্যক্ষ দুরুল হোদার নানা অনিয়ম দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি লিখিত ঐ বক্তব্যে দাবী করেন অধ্যক্ষ দুরুল হোদা রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ। তিনি আগে চাকরি করতেন একটি মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হিসেবে। পরবর্তীতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অধ্যক্ষ বনে যান। অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন অবৈধ সম্পদ। ইতোপুর্বে তার অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তার বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করেছে তারাই হয়রানির শিকার হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি দুরুল হোদা’র উপাধ্যক্ষ হতে অধ্যক্ষ পদে পদোন্নতিতে অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি এমপিওভুক্তি/এমপিও সংশোধন বন্ধ করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করেছিলেন অভিভাবক সদস্য মকবুল হোসেন। এতেও সুফল মেলেনি। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে দুরুল হুদা মাদ্রাসায় যোগদানের পরবর্তী অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় তুলে ধরে সাংবাদিকদের কাছে নানা তথ্যাদি উপস্থাপন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সহকারি মৌলভি শিক্ষক এসএমএ রউফ আরো বলেন, দুরুল হোদা নিজের দুর্নীতিকে ঢাঁকতে ২০১৭ সালের পর আওয়ামীলীগের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতার জোরে উপাধ্যক্ষ দুরুল হুদা রাতের আধারে পছন্দের লোক নিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে ইচ্ছেমত মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন।
দুরুল হুদা উপাধ্যক্ষ পদে প্রায় ২৮ বছর চাকুরীর পর নিজের শিক্ষা সনদে তৃতীয় শ্রেণি থাকা সত্বেও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মোহনপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন কবিরাজকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ২০২৩ সালে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধিষ্ঠিত হন।
অন্যদিকে গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানের পর অধ্যক্ষ দুরুল হুদা ৬ আগষ্ট হতে ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত মাদ্রাসায় অনুপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র পদত্যাগ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ দুরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন আমার বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগ মিথ্যা। আমার চাকরি প্রায় শেষ দিকে। কিছুই করিনাই শুধুমাত্র শহরে সামান্যটুকু জমি কিনেছি। এ কয়দিন ছুটিতে ছিলাম। বিস্তারিত জানতে চাইলে অফিসে আসুন।
মাদ্রাসার সভাপতি মোহনপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার আয়শা সিদ্দিকা জানান, ছুটি নিয়েছেন কি জানা নাই। ছুটি না নিয়ে থাকলে যথাষত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক আবদুল মানিক, আবদুল হামিদ, মুরাদ মোল্লা, সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সিরাজুল মোল্লা। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদ, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জুয়েল রানা, মোহনপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাফি খান এবং সৌরভ প্রমূখ। রা/অ