শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:২২ pm
এম এম মামুন :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলা অবস্থায় গত ৫ আগস্ট রাজশাহীতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাকিব আনজুম সবুজ (২৫) গুলিতে নিহত হন। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় নিহত সবুজের বাবা মাইনুল হক বাদি হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং দলের রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ সহযোগী সংগঠনের ৪২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত, সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটো, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির।
ওসি মাসুদ পারভেজ জানান, কলেজছাত্র সবুজ নিহতের ঘটনায় তার বাবা থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে। অধিকাংশ আসামি আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন নগরীর আলুপট্রি মোড়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় ধাওয়া খেয়ে পালাচ্ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ব বিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম সবুজ। তিনি শাহ মখদুম কলেজ সংলগ্ন একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তার মৃত্যু হয়। রা/অ