রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:২৩ pm
শহিদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক) নাচোল :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মির্জাপুর কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে কলেজ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় নাচোল উপজেলার মির্জাপুর কলেজের অধ্যক্ষ শেখ জাহাঙ্গীর আলমের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবিতে কলেজ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী কলেজ সংলগ্ন মির্জাপুর বাজারে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি মির্জাপুর বাজার প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ চত্বরে মিলিত হয়। সেখানে কলেজের অধ্যক্ষ শেখ জাহাঙ্গীর আলম সাময়িক ছুটিতে থাকা অবস্থায় তাঁর অনিয়ম, দূর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ফিরিস্তি তুলে ধরে বক্তব্য দেন, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষে কবির হোসেন, একাদ্বশ শ্রেণীর ছাত্র সোহাগ আলী, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র বিপ্লব, সাবেক ছাত্র ফরহাদ হোসেন, ওয়াসিম আলী ও শিক্ষানুরাগী গোলাম মোস্তফা।
বিক্ষোভ সমাবেশে কবির হোসেন জানান, অধ্যক্ষ শেখ জাহাঙ্গীর আলম স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিগত ২০২১ সালের চলমান বৈধ কমিটিকে গোপনে বাতিল দেখিয়ে তার পকেট কমিটি করেন।
ওই কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫/০২/২০২১ তারিখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে(অপ্র-২৭/২০২১ নং)একটি রিট হয়। দীর্ঘ শুনানীর পর বিজ্ঞ আদালত গত ১৫/১২/২০২১ তারিখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও তাঁর কার্যক্রম বিধি বহির্ভূত মর্মে আদেশ দেন।
কিন্তু অধ্যক্ষ আদালতের আদেশ পাস কাটিয়ে তাঁর পকেট কমিটির মাধ্যমে কলেজের উন্নয়ন ফান্ডে টাকা জমা করার কথা বলে প্রায় ৮১ লাখ টাকার বিনিময়ে কলেজে ল্যাব সহকারি, ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট (উদ্ভিদ বিজ্ঞান), ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট (রসায়ন), ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট (পদার্থ বিজ্ঞান) ও ল্যাব সহকারি পদে ৫ জনকে নিয়োগ দেন।
ওই টাকা কলেজের উন্নয়ন ফান্ডে জমা না করে অধ্যক্ষ আত্মসাৎ করেছেন। কলেজের নামে দানকৃত জমিতে ভবন নির্মাণ না করে অন্যের জমিতে কলেজ ভবন নির্মাণ, পরিত্যক্ত ভবনের ইট বিক্রি, আমগাছের বাৎসরিক লীজের টাকা ও শিক্ষকদের টাকায় ক্রয় করা ৬ লাখ টাকা মূল্যের শিক্ষার্থী বহনের গাড়ি অবৈধভাবে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম দূর্ণীতির অভিযোগে অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানান।
এসময় শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সাময়িক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমান (ইসলামী শিক্ষা) তাঁর দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। রা/অ