শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৪৩ pm
শহিদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক) নাচোল :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে (সারা বাংলাদেশে আওয়ামী অবৈধ সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার (জেলা ও উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ) প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভোটারবিহীন নির্বাচনের অবৈধ জনপ্রতিনিধিদের অপসরণ ও প্রতিহত করার কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৮ টা থেকে উপজেলা পরিষদের প্রধাণ ফটকের সামনে নেতা কর্মীরা অবস্থান নেয়। এ সময় অবৈধ সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসরণের দাবিতে শ্লোগান দেয়।
নাচোল উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, ভাইস চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ও শামিমা ইয়াসমিন লিপি এবং নাচোল পৌর মেয়র ও পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ ঝালুখাঁন এর অপসারণের দাবি তুলে কর্মসূচি পালন করেন। ছাত্র -জনতাসহ জাতীয়তাবাদী দল নাচোল উপজেলা শাখা ও জামায়াতে ইসলামী নাচোল উপজেলা শাখার হাজারো নেতা কর্মীরা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর একটি টিম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ভোটার বিহীন নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, ভাইস চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ও শামিমা ইয়াসমিন লিপি এবং পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ ঝালুখাঁন এর অপসারণ এবং অফিসে না আসার দাবি করেন।
একই সঙ্গে পুনর্র্নিবাচন অথবা প্রশাসন কর্তৃক ওইসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার আহবান জানিয়েছেন তারা। অন্যথায় মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুশিয়ারিও দেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি নাচোল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিএনপির সাবেক পৌর সেক্রেটারি দুরুল হোদার সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য দেন, বিএনপি নেতা নূর কামাল, যুব দলের সভাপতি আশীক মাহমুদ, ছাত্র দলের নেতা মুকুল, ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ডালিম, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মোবারক হোসেন, পৌর নায়েবে আমির রফিকুল ইসলাম, পৌর আমীর মনিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মোক্তারুল ইসলাম । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আল মেহরাব, শফিকুল ইসলাম, আমিনুল হক ।
বক্তারা বলেন, প্রায় ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকার গুম-খুনের রাজনীতি করেছে। বিনা ভোটে তারা সরকার গঠন করেছে। নিশিরাতের ভোটেও তারা ক্ষমতায় ছিল। গত ৭ জানুয়ারি তাদের নাটকীয় নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে আসেনি। এরপরও তারা সরকার গঠন করে। ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছে দেশে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ভোট ছাড়াই আওয়ামী অবৈধ সরকার জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছে। এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এরা ‘অবৈধ’ জনপ্রতিনিধি।
এরা ভোট ডাকাত, মানুষ হত্যাকারি, গডফাদার, তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে। এদের বিচার করতে হবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ যেকোন সরকারি অফিসে আর তাদের ঢুকতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দেন নেতারা। রা/অ