শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:০৫ am
এম এম মামুন :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে আনসার ভিডিপি ক্লাবসহ প্রায় ১০ থেকে ১৫টি বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ করেছে দুষ্কৃতকারীরা। ওই দিন সংঘর্ষে জয়নাল আবেদীন নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। আহত হয়েছে প্রায় পাঁচজন। নিহত জয়নাল আবেদীনের পরিবারের পক্ষ থেকে মোহনপুর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আসামি একটি হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর থেকে গোপালপুর গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় পাশের ধুরইল ও হরিপুর গ্রামের একদল দুষ্কৃতকারীরা গোপালপুর গ্রামে গিয়ে প্রথমে আনসার ভিডিপি ক্লাব ভাংচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে করে পুরো গ্রাম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গোলাম মোর্তুজা নামের এক ব্যক্তি বাধা দিলে দুষ্কৃতকারীরা তাকে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করে। দুষ্কৃতকারীরা গোপালপুর গ্রামের মাইনুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, উজ্জল হোসেন, বরজাহান, আজিমুউদ্দিন, আলমাস হোসেন, রুবেল হোসেন, আব্দুল হান্নান, প্রতিবন্ধী আলাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা জিনিসপত্র লুটপাটের পর খড়ের পালায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে প্রায় ১২/১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গোপালপুর গ্রাম বাঁচাও বাঁচাও বলে মাইকিং করলে গ্রামবাসি আশেপাশের গ্রামের লোকজন ছুটে আসলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে করে দুষ্কৃতকারীদের সাথে থাকা জয়নাল আবেদীন নামের একজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন প্রায় পাঁচজন। ওই সময় দুষ্কৃতকারীরা ৫টি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে মোটরসাইকেল গুলোতে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মন্ডল বলেন, গোপালপুর গ্রামে সংঘর্ষে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যার মামলা হয়েছে। কিন্তু আনসার ভিডিপি ক্লাবসহ বাড়ি ভাংচুর,খড়ের পালায় অগ্নিসংযোগে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রা/অ