শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:১৪ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে গত ১৮ জুলাই থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ২৬ দিন পর মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ৩৭টি ট্রেন চালু করে রেল পশ্চিম (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা)। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) থেকে চালু হয়েছে আন্তঃনগর ট্রেনও। তবে প্রথম দিনে যাত্রীর চাপ ছিল তুলনামূলক কম।
রেলওয়ে পশ্চিম সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন থেকেই সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে মন্ত্রণালয়। এরপর ২৫ জুলাই কারফিউ শিথিল হলে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চালুর ঘোষণা দেয় পশ্চিম রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে শেষ পর্যন্ত সেই দিনও ট্রেন চালু করা যায়নি। এরপর থেকে বন্ধই ছিল ট্রেন চলাচল। পরে ২৬ দিন পর মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ৩৭টি ট্রেনের মাধ্যমে রেল পশ্চিমের ট্রেন চালু হয়। আর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে আন্তঃনগর ট্রেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেস। রাত ৯টা ১৫ মিনিটে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ও রাত ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, সুনসান নীরবতা কেটে গেলেও স্বাভাবিক হয়নি লোক সমাগম। প্রথম দিন হওয়ায় ট্রেনেও যাত্রী চাপ অনেকটাই কম ছিল। তবে দীর্ঘদিন পর হলেও দূরপাল্লার নিরাপদ বাহন আন্তঃনগর ট্রেন চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
রাজশাহী থেকে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া যাওয়ার টিকিট কাটেন নাজমুল হক। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন অপেক্ষায় ছিলাম কবে ট্রেন চালু হবে আর বাড়ি যাবো। আজ ট্রেনযাত্রার সুযোগ পাচ্ছি। সময় কিছুটা বেশি লাগলেও নিরাপদে যেতে ট্রেনই আমার প্রথম পছন্দ।’
রাতের বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে দিনাজপুর যেতে টিকিট নিতে কাউন্টারে এসেছেন মোবারক মিয়া। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন শেষ হওয়ার পর থেকেই বাসায় যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। আজ রাতের ট্রেনে বাসায় যাবো।’
জানতে চাইলে পশ্চিম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আনসার ও আরএনবি সদস্যরা রেললাইনের নিরাপত্তায় থাকবেন। রা/অ