শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:০২ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর থানাগুলোতে শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করতে আসেননি। দু’একটি থানায় একজন-দু’জন পুলিশ সদস্যকে দেখা গেছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ তদারকি করতে। তবে থানায় কোনো পুলিশি কার্যক্রম শুরু হয়নি। থানাগুলো এখন যেভাবে ধ্বংসস্তূপে পড়ে আছে তাতে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে সময় লাগবে। পুলিশি কার্যক্রম না থাকায় এখনো উদ্বেগে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার রাতেও রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে বলে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা ফেসবুকে জানিয়েছেন, ডাকাত প্রতিহত করতে এলাকার মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে। তরুণ-যুবারা রাত জেগে পাড়া-মহল্লায় পাহারা দিয়েছেন। উদ্বেগ-আতঙ্কে এলাকার লোকজন নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।
এদিকে শুক্রবার সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কাশিয়াডাঙ্গা থানায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে দায়িত্ব পালনের জন্য কোনো পুলিশ সদস্য আসেননি। রেজাউল করিম নামের এক আনসার সদস্যের তত্ত্বাবধানে রয়েছে থানাটি। এ থানায় কয়েকজন লোকজনকে নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে দেখা যায় মো. সেলিম নামের এক পুলিশ সদস্যকে।
গত সোমবার সহিংসতার দিন এ থানাটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। থানার সামনে থাকা তিনটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। অস্ত্রাগারও লুট করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার রাতে কিছু অস্ত্র ফেরত পেয়েছেন আনসার সদস্যরা।
কাশিয়াডাঙ্গা জোনের উপ-কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় সেটি তালাবদ্ধ। নগরীর সিঅ্যান্ডবি এলাকায় আরএমপির সদর দপ্তরও তালাবদ্ধ দেখা যায়। পুড়িয়ে দেওয়া আরএমপি সদর দপ্তর সেনা সদস্যদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এছাড়া পুড়িয়ে দেওয়া হয় বোয়ালিয়া থানাও। বোয়ালিয়া থানার প্রধান ফটক লাগিয়ে ভেতরে আনসার সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে।
আরএমপির রাজপাড়া থানাও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। রাজপাড়া থানায় গিয়ে শুক্রবার সকালে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, থানার সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কঙ্কালের মতো শুধু ভবনটাই দাঁড়িয়ে আছে। এখানে বসার কোনো পরিবেশ নেই। ঊর্ধ্বতনরা থানায় যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেজন্য থানায় এসেছি। থানা সংস্কারের পর পুলিশি কার্যক্রম কবেনাগাদ শুরু করা যাবে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই বলতে পারবে।
এদিকে শুক্রবার সকালে নগরীর ভেড়িপাড়ায় পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় এবং কোর্ট এলাকায় জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ও তালাবদ্ধ দেখা গেছে। এসব কার্যালয়ে কোনো পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।
বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার জামিরুল ইসলাম এবং জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) রফিকুল আলমকে শুক্রবার সকালে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। রা/অ