শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:১২ am
ডেস্ক রির্পোট :
গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বিবিসি নিউজআওয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “এত পরিশ্রমের পরও অল্প কিছু মানুষের এমন আন্দোলন দেখে তিনি যার পর নাই হতাশ।”
কোটা আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলন সহিংস রূপ পাওয়ার পর তা সরকার পতনের আন্দোলনের রূপ পায়। এই আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশে সহিংসতা প্রাণ যায় অন্তত ৩০০ মানুষের।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সামরিক হেলিকপ্টারে করে তিনি পৌঁছান প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। ইতোমধ্যে তিনি যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন বলে খবর এসেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।
শেখ হাসিনা যে সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তার বেশিরভাগ সময় তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার ভূমিকায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জয়।
বিবিসিকে তিনি বলেছেন, রোববারও তার মা পদত্যাগের প্রশ্নে দ্বিধায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ‘পরিবারের কথায় নিজের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে’ তিনি দেশ ছেড়েছেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ছয় বছর নির্বাসনে কাটাতে হয় শেখ হাসিনাকে।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে তিনি বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে জিতে তিনি দলকে ক্ষমতায় নেন। পরে ২০০৮ সালে আবারও ক্ষমতায় আসার পর টানা সাড়ে ১৫ বছর তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এই সময়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ নিয়ে বিবিসির প্রশ্নে জয় বলেন, “বাংলাদেশকে তিনি নতুন করে গড়ে তুলেছেন। তিনি যখন দায়িত্ব নেন, বাংলাদেশকে তখন একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বিবেচনা করা হত। বাংলাদেশ তখন ছিল গরিব দেশ। আর এখন বাংলাদেশকে বলা হয় এশিয়ার অন্যতম উদীয়মান বাঘ। তিনি খুবই হতাশ।”
সাম্প্রতিক আন্দোলন দমনে অতিরিক্ত বল প্রয়োগের যে অভিযোগ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উঠেছে, তা অস্বীকার করে জয় বলেন, “এই গতকালও ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে মারল, তো মানুষকে যখন পিটিয়ে মারা হয়, পুলিশ তখন কী করবে বলে আপনি আশা করেন?” রা/অ