শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৩৭ pm
এম এম মামুন :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজশাহী মহানগরীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে ভদ্রা ও রেলগেট পুলিশ বক্স, আওয়ামী লীগের অফিস, ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের টাঙানো ব্যানার, ফেস্টুন।
শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রুয়েট থেকে বের করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী এসব স্থাপনা ভাংচুর করে।
গণমিছিলে হামলা, ছাত্র হত্যা ও নয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। মিছিলে অংশ নেয় নগরীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। সকাল সাড়ে ১০টায় রুয়েট গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি তালাইমারি হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটে গিয়ে ঢাকা-রাজশাহী সড়ক অবরোধ করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যায়। পরে মিছিল নিয়ে শহীদ কামরুজ্জামান চত্তর রেলগেটে এসে সমাবেশ করে। পরে পুনরায় দুপুর দুটার দিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রুয়েটে গিয়ে শেষ হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রথমেই ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে। মহাসড়ক অবরোধের ফলে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের যাত্রী ও পথচারিরা।
এদিকে রুয়েট গেট থেকে বের করা বিক্ষোভ মিছিল রেলগেটের দিকে আসার পথে নগরীর দেবিশিং পাড়ায় একটি আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করা হয়। পরে সেখানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। একই সাথে নগরীর ভদ্রায় অবস্থিত একটি পুলিশ বক্স ভাংচুর করে পুড়িয়ে দেয়।
বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা দুপুর ১টার দিকে নগরীর রেল গেটে অবস্থান নেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থীরা রেলগেটে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাংচুর করে। পরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। একই সাথে অবরোধ করে রাখা হয় রেল গেটের রাস্তা। প্রায় ঘন্টাব্যাপী শিক্ষার্থীরা রেল গেটে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। পরে আগামীকালের কর্মসূচি পালনের জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে রেলগেটের সামবেশ স্থাগিত করা হয়। পরে মিছিলটি পুনরায় রুয়েটে ফিরে যায়।
এছাড়াও রুয়েট থেকে মিছিল বের করার সময় পুলিশের এক সদস্যকে মারপিট করে আহত করে শিক্ষার্থীরা। আহত পুলিশ সদস্যের নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি সিটিএসবি হিসাবে কর্মরত। আহত পুলিশ সদস্যকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই সাথে সাংবাদিকদের ওপর হামালা চালিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ।
এদিকে শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দেন ‘এক দুই তিন চার, স্বৈরাচার তুই গদি ছাড়’, ‘শিবির ট্যাগের ছলচাতুরী, বুইজা গেছে জনগণ’, ‘দফা এক দাবি এক, স্বৈরাচারের পদত্যাগ’, ‘নয় ছয় বুজিনা, কবে যাবি হাসিনা’, ‘আবু সাঈদ মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। তবে রুয়েট থেকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশ বাঁধা দেয়নি। রা/অ