সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:১০ pm
ক্রীড়া ডেস্ক : ইউরোপীয় ফুটবলে ম্যানচেস্টার সিটি বড় শক্তি বেশ কয়েক বছর ধরেই। ধনকুবের মালিকের অর্থে ফুলেফেঁপে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সত্যিকারের বড় দল হয়ে ওঠার চেষ্টাটাও সিটির অনেক দিন ধরেই। পেপ গার্দিওলাকে কোচ বানানো হয়েছে সেই পথ দেখানোর জন্য। অর্থও খরচ হচ্ছে দেদার। কিন্তু সাফল্যটা আসছিল না। সাফল্য বলতে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব, কিংবা শ্রেষ্ঠত্বের কাছাকাছি পৌঁছানো।
চ্যাম্পিয়নস লিগে বারবার কোয়ার্টার ফাইনালের দুঃখ সইতে হয়েছে তাদের। ফিরে যেতে হয়েছে শেষ চারে পা রাখার আগেই। তবে এবার সেই কষ্ট, সেই দুঃখ ঘুচেছে সিটির। তিন তিনবার শেষ আট থেকে বিদায় নেওয়ার পর এবার বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেছে তারা। কাল রাতে ডর্টমুন্ডের মাঠে গার্দিওলার দল জিতেছে ২-১ গোলে। সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ পিএসজি। এটি সিটির দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চার।
কোয়ার্টারে ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ডর্টমুন্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল সিটি। কিন্তু সেদিনই গার্দিওলা শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন দ্বিতীয় লেগে ডর্টমুন্ডের প্রতিরোধ নিয়ে। সে কারণেই তিনি অস্বস্তিতে ছিলেন। সিটি-গুরুর শঙ্কাটা কিংবা অস্বস্তি যে মোটেও অমূলক ছিল না, সেটি প্রমাণ হয়েছে কাল। জুড বেলিংহামের গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল ডর্টমুন্ডই। পরে ডর্টমুন্ডকে স্বপ্ন ভেঙেছেন রিয়াদ মাহরেজ ও ফিল ফোডেন।
সেমিফাইনালে উঠতে জয় ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না ডর্টমুন্ডের। ১৫ মিনিটেই তারা প্রথম গোল পেয়ে যায়। হরলান্ডের একটি শট সিটির রক্ষণভাগ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল পেয়ে যান বেলিংহাম। ১৮ বছর বয়সী ইংলিশকে ডর্টমুন্ড কেন আগ্রহ করে কিনেছিল, সেটির প্রমাণ রেখেছেন তিনি। যে গোলটি তিনি করেন, তাতে শটে শক্তির তীব্রতা যেমন ছিল, তেমনি ছিল শিল্পীর তুলির আঁচড়। সূত্র : প্রথমআলো। আজকের তানোর