শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৫৩ pm
আবু বাককার সুজন (নিজস্ব প্রতিবেদক) বাগমারা :
রাজশাহীর বাগমারায় প্রবাসী হাবিবুর রহমান ও তার প্রতারক ভাই মাষ্টার আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে আদালতের রায় অমান্য করে ভূয়া দলিলের মাধ্যমে রাস্তা করার নামে ইট বিছিয়ে এক ব্যবসায়ীর জমি দখলের অভিযোগ ওঠেছে। এই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ওই ব্যবসায়ী ফিরোজুল ইসলাম রাজু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান থানা পুলিশ ও গ্রামপুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। গোবিন্দপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের দামনাশ গ্রামের মৃত আব্দুল ছাত্তারের প্রতারক ছেলে দামনাশ দাখিল মাদরাসার সহকারি শিক্ষক আব্দুল লতিফ ও তার ভাই ইতালি প্রবাসী হাবিবুর রহমান একই গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে ফিরোজুল ইসলাম রাজু ও শাহ জালাল রানার ভোগ দখলীয় জমি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে ১৭২৩০/১৯৬৮ নম্বরের একটি ভূয়া দলিল দাখিল করে আদালতে একটি মামলা করেন। ওই দলিল সম্পাদনে ইংরেজি দুটি তারিখ ১২/১২/১৯৬৮ ও ৩১/০১/১৯৬৯ এবং বাংলা তারিখ ১৫/০৫/১৯৭৫ উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু বাংলা ১৫/০৫/১৯৭৫ তারিখ ছিল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এছাড়া ওই দলিলে কম্পিউটারাইজড ডিজিটাল সিলমোহরে বাংলা ও ইংরেজিতে রেজিষ্ট্রার বানান ভূলসহ বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতি রয়েছে। কিন্তু বাস্ততে ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান আমলে কম্পিউটারাইজড ডিজিটাল সিলমোহর ছিল না। কাজেই এতসব অসঙ্গতিপূর্ণ দলিল বিশ^াসযোগ্য নয় এবং দলিলটি জাল প্রতীয়মান হয়েছে মর্মে দলিলটি জব্দ করে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মারুফ আল্লাম মামলাটি খারিজ করে দেন। এছাড়া প্রতারনার দায়ে মাষ্টার আব্দুল লতিফকে পুলিশ আটক করে কারাগারে পাঠায়। এরপর মাষ্টার আব্দুল লতিফ বিতর্কিত ওই জমিতে তিনি বা তার কোনো ওয়ারিশ যাইবে না বা যাব না মর্মে অঙ্গীকার দিয়ে সম্প্রতি জামিন পান। কিন্তু জামিনে আসার পর তার প্রবাসী ভাই হাবিবুর রহমান, আবুল কাশেম, আব্দুল হাদী এবং ভাগিনা মান্দার বেলাল উদ্দিনসহ ১৫-১৬ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শনিবার রাস্তা করার নামে ইট বিছিয়ে ওই জমি দখলের চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে মাষ্টার আব্দুল লতিফ বলেন, তার এক ভাই বিদেশে থাকে এবং তাদের দুটি ট্রাক রয়েছে। এ কারণে ১৫ ফিট প্রস্ত রাস্তার প্রয়োজন হওয়ায় তারা নিজ খরচে ওই জমিতে ইট বিছিয়ে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করলে ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে তিনি স্বীকার করেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে বলে থানার ওসি অরবিন্দ সরকার সাংবাদিকদের জানান। রা/অ