রবিবর, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:০৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর ও নিয়ামতপুর সীমান্তের হরিপুর সরকারি খাল পাড়ের বন বিভাগের রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় অর্ধশতাধিক গাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, হরিপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র ও হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক খাইরুল ইসলাম এসব গাছ স’মিল মালিকের কাছে বিক্রি করেছেন। তানোরের মাদারীপুর বাজারের শুকুর স’মিল মালিক আব্দুস শুকুর এসব গাছ কিনে কেটেছেন। অপরিপক্ক ৬টি তাল গাছ ও প্রায় ৪০টি ইউক্যালেক্টার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। মাদারীপুর বাজারের শুকুর স’মিলে এসব গাছ স্তুপ করে রাখা হয়েছে।
এভাবে নির্বিচারে পরিপক্ক-অপরিপক্ক গাছ কাটায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছেন স্থানীয় সুশিল সমাজ। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৪ জুন সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, তানোর -নিয়ামতপুর সীমান্তে হরিপুর সরকারী খাল পাড়ে তিনদিন ধরে তাল ও ইউক্যালেক্টর গাছ কাটা হচ্ছে। শুকুর স’মিল মালিক আব্দুস শুকুর শ্রমিক দিয়ে এসব গাছ কাটছে। স্থানীয়রা জানান, শুকুর অবৈধ করাতকল নির্মাণ করে চোরাই কাঠের ব্যবসা করছে। তারা বলেন, শুকুর স’মিলে যেসব কাঠ স্তুপ হয়ে পড়ে আছে তার তদন্ত করা হলে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হবে এবিষয়ে জানতে চাইলে হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক খাইরুল ইসলাম বলেন, সরকারি খাড়ির ধার হলেও এসব জায়গা তাদের নিজস্ব। তিনি তার নিজের জায়গার গাছ বিক্রি করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শুকুর স’মিল মালিক আব্দুস শুকুর এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি টাকা দিয়ে গাছ কিনেছেন, তাই কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে তার দায় খাইরুল ইসলামের। এবিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই জায়গা নিয়ামতপুর উপজেলার সীমানায়। তিনি নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। এবিষয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, তিনি মিটিংয়ে আছেন,তিনি এসিল্যান্ড সাহেবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এবিষয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) বলেন, সাংবাদিকগণ তাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মেম্বার) মতিউর রহমান মতি বলেন, ইউএনও স্যার তাকে গাছগুলো জব্দ করতে বলেছিলেন, তবে গাছগুলো নিয়ামতপুর উপজেলা সীমানায়, এছাড়াও খাইরুল ইসলাম তাকে বলেছেন জায়গাটা তাদের নিজস্ব সম্পত্তি। রা/অ