শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪৯ pm
আবু বাককার সুজন (নিজস্ব প্রতিবেদক) বাগমারা :
রাজশাহীর বাগমারায় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় নাজমুল হক ও হাতেম আলী নামে প্রতারক দুই চাচা-ভাতিজার বিরুদ্ধে ভূয়া দলিলের মাধ্যমে এক গৃহধূর জমি খারিজ করে পুকুর দখলের অভিযোগ ওঠেছে।
এই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ওই গৃহবধূর ছেলে আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে শ্রীপুর ইউপির চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি), প্রতারক নাজমুল হক ও হাতেম আলীর বিরুদ্ধে রাজশাহী দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভাগীয় পরিচালকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সাদোপাাড়া গ্রামের আহম্মদ আলীর স্ত্রী কলেজান তার মা ও তিন বোনের নিকট থেকে সাদোপাাড়া মৌজায় আর.এস ২২ নং খতিয়ান থেকে ১০১২, ১০১৩ ও ১০১৪ নং দাগে দলিল মূলে মোট .৮৭ একর জমি ক্রয় করে নিজ নামে খাজির করেন। পরবর্তীতের ওই জমিতে তার ছেলে আমিনুল ইসলাম পুকুর খনন করে ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত মুনছুর রহমানের ছেলে নাজমুল হক ও মৃত ফরজ আলীর ছেলে হাতেম আলী ভূয়া দলিলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে কলেজানের নামে খারিজ থাকা সত্বেও ওই দুই প্রতারক তাদের মৃত বাবা ও মায়ের নামে ওই জমি খারিজ করে নেন।
বিষয়টি জানতে পেরে কলেজান বেগম বিগত ২৬/১২/২০২২ ইং তারিখে মৃত মুনছুর রহমান, মৃত ফরজ আলী ও তার স্ত্রী মালেকা বিবির নামে অবৈধভাবে খারিজ বাতিলের দাবিতে উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনারের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস ও তাহেরপুর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় অবৈধ ওই খারিজের বিরুদ্ধে আজো কোনো ব্যবস্থ নেওয়া হয়নি। তাছাড়া গত ৩ জুন সকালে শ্রীপুর ইউপির চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিজে উপস্থিত থেকে তার বাহিনী দ্বারা কক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ওই পুকুরের মাঝখানে বাঁধ দিয়ে প্রতারক নাজমুল ও হাতেম আলীকে পুকুরের আংশিক দখল করে দেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা অর্থ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নাজমুল ও হাতেম আলীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নোটিশের মাধ্যমে ইউপি কার্যালয়ে এক সালিশ-বৈঠক ডাকা হয়। ওই সালিশ-বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন গঠন করা হয়। ওই কমিশন যে রায় দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করতেই ওই পুকুরের মাঝখানে বাঁধ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
এদিকে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জোবায়ের হাবিব বলেন, ঘটনাটি আমি বাগমারা অফিসে যোগদানের অনেক আগের। তাই এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। রা/অ