শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪৮ pm
আবু বাককার সুজন (নিজস্ব প্রতিবেদক) বাগমারা :
রাজশাহীর বাগমারায় প্রভাবশালী একটি মহলের বিরুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিলের মধ্যে লাল নিশানা টাঙ্গিয়ে জোরপূর্বক হাতিয়ার বিল দখলের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। খবর পেয়ে থানা ও হাটগাঙ্গোপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ অভিযান চালিয়ে নরদাশ গ্রামের জনৈক দুলাল উদ্দিনের বাড়ি থেকে অর্ধশতাধিক বাঁশের লাঠি উদ্ধার করেছে। বিল দখলে নিতে লাঠিগুলো নাশকতার উদ্দেশ্যে মজুদ করে রাখা হয়েছিলো বলে পুলিশ জানিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নরদাশ ইউনিয়নের হাতিয়ার বিলে কৃষকদের জমিতে বিনা খরচে সেচ সুবিধা দিয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে ‘হাতিয়ার বিল মৎস্য চাষ প্রকল্পের’ আওতায় মৎস্যচাষিরা পরিকল্পিত পদ্ধতিতে মাছচাষ করে আসছেন। জমিতে বিনা খরচে সেচ সুবিধা দেওয়া ছাড়াও মাছ চাষের বিনিময়ে কৃষকদের প্রতি শতক জমির ভাড়া বাবদ বার্ষিক ৬০০ টাকা হারে দেওয়া হয়। এই ধরনের সুবিধা পাওয়ায় বিলসংলগ্ন ৭-৮ টি গ্রামের প্রায় পাঁচশতাধিক কৃষক ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে লিখিতভাবে ‘হাতিয়ার বিল মৎস্য চাষ প্রকল্পের’ আওতায় মৎস্যচাষিদের মাছ চাষের জন্য অনুমোতিও দিয়েছেন।
প্রকল্পের সভাপতি তমেজ উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক উপজেলা আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন জানান, কৃষকদের সঙ্গে তাদের চুক্তিনামা অনুযায়ী প্রায় ১৫ বছর ধরে ‘হাতিয়ার বিল মৎস্য চাষ প্রকল্পের’ আওতায় তারা শান্তিপূর্ণভাবে মাছচাষ করে আসছেন। এতে এলাকার কৃষকরাও সন্তষ্ট। অথচ গত সোমবার সকালে নরদাশ ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্নসম্পাদক মজিবর রহমান, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্নসম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লাঠিয়াল বাহিনী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই বিলের মধ্যে লাল নিশানা টাঙ্গিয়ে দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিলটি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা আরো অভিযোগ করেন, ওই লাঠিয়াল বাহিনীর লোকজন জাল দিয়ে আমাদের চাষকরা মাছ ধরে লুট করে নিয়ে গেছে। অথচ তারাই আবার আমাদের প্রকল্পের বিলে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে। এ বিষয়ে নরদাশ ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্নসম্পাদক মজিবর রহমান বলেন, উপজেলা আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে কিছু লোকজন প্রায় ১৫ বছর ধরে বিলটি দখল করে রেখেছেন। তাই বিলটি উদ্ধারের জন্য লাল নিশানা টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে থানার ওসি অরবিন্দ সরকার মঙ্গলবার রাতে এই প্রতিবেদককে জানান, এই ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। রা/অ