বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৪৪ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের চারবারের নির্বাচিত এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রাননাশের ষড়যন্ত্রের ঘটনায় থানায় জিডি করেছেন। সম্প্রতি ৩০ মে বৃহস্পতিবার এমপি নিজেই বাদি হয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় জিডিটি করেন তিনি। যার নম্বর- ১৫৬২। তারিখ- ৩০মে/২০২৪।
জিডিতে বলা হয়, সম্প্রতি ৩০ মে বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ী উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভার প্রধান উপদেষ্টা এমপি ফারুক চৌধুরী। তিনি নিজ বাস ভবন রাজশাহীর থিম ওমর প্লাজা থেকে সভায় যোগদানের জন্য রওনা দেন। বেরিয়েই পথের মধ্যে তিনি জানতে পারেন গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্বরে আওয়ামী লীগ চেতনা বিরোধী দুই থেকে আড়াই হাজার লোক তাঁর প্রাননাশের ষড়যন্ত্র করছেন।
এমপি ফারুক চৌধুরী সভাস্থল গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্বরে পৌঁছে এতলোক দেখে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেন যে, আজ মাসিক সমন্বয় কমিটির সভা এতো লোক এখানে কেন? আমার তো মনে হয় তারা আমার প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। এমপির এমন কথায় ইউএনও কোন সদ উত্তর দিতে পারেন নি। পরিষদের মুল ফটকের কাছে এমপি পৌঁছা মাত্র শহর থেকে আগত কিছু সাংবাদিক অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন। তখন এমপি তাদেরকে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে প্রশ্ন করার অনুরোধ করেন।
জিডিতে আরো উল্লেখ করা হয়, পরিষদ চত্বরে এতো লোকের সমাগম করতে হলে অবশ্যই নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল কোন অনুমতি ছাড়াই এতো লোকের সমাগম করেন বলে জিডিতে বলা হয়।
তথ্যানুন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি ৩০ মে বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য তিনি উপজেলা পরিষদে দুই থেকে আড়াই হাজার লোকজন নিয়ে আসেন।
সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ভালো কথা। কিন্তু উপজেলা পরিষদ চত্বরে এতো লোক সমাগম হওয়াটা সঠিক নয়। কারণ একই দিন উপজেলা মাসিক সমন্বয় কমিটির সভা। সভায় এমপি উপস্থিত থাকবেন এটা অনেকেরই জানা ছিল। এমপিকে বিতর্কিত ও হেনেস্তা করতেই নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এমন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন।
কারণ গোদাগাড়ীতে অনেক কর্মরত সাংবাদিক রয়েছেন। অথচ শহর থেকে বিপুল পরিমান সাংবাদিক ভাড়া করে এনেছেন চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল। এটা থেকেই সুস্পষ্ট প্রামাণিত ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। তাছাড়া বেলাল দায়িত্ব নিবে, আর ওই দিন সভা, আবার এমপিকে বিতর্কিত করার জন্য আবল তাবল কথা বলা সব কিছুই পরিকল্পিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এব্যাপারে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জিডির কপি বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত করা হবে। তদন্ত করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হয় চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল দায়িত্ব গ্রহণের দিন এতো লোকের সমাগম পরিষদ চত্বরে ঘটাতে পারেন কি না, কোন অনুমতি ছিল কি না এবং কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না তিনি এসব প্রশ্নের ব্যাপারে জানান, কোন অনুমতি ছিল না। এতো লোকের সমাগম করাটাও সঠিক নয়, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানান ইউএনও। রা/অ