মঙ্গবার, ০৩ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১১:১১ pm
বাঙালির অর্জনের ইতিহাসের অধ্যায়জুড়ে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর ভূমিকা বিস্তৃত। ভাষা শহীদদের স্মরণে তাঁর অমর পঙক্তি, ‘আমার ভাইয়ের রক্তের রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারিৃ’ ইতিহাসে বিশেষ অধ্যায় সংযোজন করার পাশাপাশি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে অমর করে রেখেছে। আজ তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২২ সালের এই দিনে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ তো বটেই, স্বাধীন বাংলাদেশেও আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি-সমাজ-রাজনীতি প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল দিকনির্দেশকের। স্বাধীনতার পর বিশেষ কারণে তিনি দেশ ত্যাগ করে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করলেও সংবাদমাধ্যমে তিনি সপ্তাহের প্রায় সাত দিনই আমাদের সামনে উপস্থিত থাকতেন তাঁর দিকনির্দেশনামূলক কলাম নিয়ে।
কর্মসূত্রে গাফ্ফার ভাইয়ের সঙ্গে স্বাভাবিক কারণেই নৈকট্য গড়ে উঠেছিল এবং সেই সুবাদেই আমি ভাগ্যবানদের একজন। আমার প্রথম গ্রন্থ ‘বৃত্তের ভেতরে বৃত্ত’-এর মুখবন্ধ লিখেছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে আমি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছি। বইটির ভূমিকা লেখার কথা ছিল সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের। কিন্তু গাফ্ফার ভাই যখন নিজেই আগ্রহ প্রকাশ করলেন, তখন আমি দ্বিমুখী সংকটে পড়ে যাই। খুব স্বাভাবিকভাবেই মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান স্যারকে কথাটি বলতে তাঁর বাসায় গেলাম। তিনি আমার মলিন মুখায়ব দেখে উৎসুক হয়ে প্রশ্ন রাখলেন, ‘তোমাকে এমন লাগছে কেন? কোনো সমস্যা?’ আমি বললাম, হ্যাঁ স্যার। বড় বেশি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। তিনি জানতে চাইলেন বিষয়টি। বললাম, গাফ্ফার ভাই আমার বইটির ভূমিকা লিখতে নিজেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। স্যার তৎক্ষণাৎ তাঁর আরাম-কেদারা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। আমার মাথায় হাত দিয়ে বললেন, ‘তুমি বড় ভাগ্যবান। আমার জায়গায় আবদুল গাফফার চৌধুরী তোমার বইয়ের মুখবন্ধে থাকবেন, এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি তোমার আর কী হতে পারে! বাঙালির ইতিহাসের অংশ আবদুল গাফফার চৌধুরীর আশীর্বাদ তোমার ওপর বর্ষিত হচ্ছে, এটি আমার জন্যও পরম আনন্দের। আমি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর চেয়ে সবদিকেই অনেক খাটো।’
স্যারের কথা শুনে আমি বিস্মিত। মানুষের বড়ত্ব কি এভাবেই প্রকাশ পায়! হাবিবুর রহমান স্যারের একটানা কথাগুলো শুনে আমি অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েছিলাম। পরম শ্রদ্ধেয় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী কিংবা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান স্যাররা তাদের জীবনের অর্জন বোঝার মতো বয়ে বেড়াননি। এজন্যই তারা আমাদের কাছে আরও বেশি নমস্য-প্রণম্য। গাফ্ফার ভাই যেদিন প্রয়াত হলেন, সেদিন আমার সাংবাদিকতা জীবনের ২৭ বছর সাত মাস ৪ দিন অতিক্রান্ত হয়। ওই ২৭ বছরের মধ্যে প্রায় ২৫ বছরেরও বেশি সময়ে সপ্তাহের কোনো না কোনো দিন (যেখানেই কাজ করেছি) গাফ্ফার ভাইয়ের সঙ্গে কাজের প্রয়োজনেই কথা বলতে হতো। এর বাইরে অন্যান্য দিন যে কথা হতো না, তা কিন্তু নয়। তবে সেসব দিনের আলাপচারিতা থাকত পেশাগত কাজের বাইরের বিষয়। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর স্থান আমাদের ইতিহাসের বড় অধ্যায়জুড়ে নির্ধারিত হয়ে আছে, তাঁর কর্মকাণ্ডের কারণেই। গাফ্ফার ভাই লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তাঁর খুব আদরের মেয়ে বিনিতা চৌধুরীর মৃত্যু সংবাদের মতো অসহনীয় ভারবাহী বোঝা বয়েছেন। পিতার কাঁধে সন্তানের লাশের চেয়ে ভারবাহী তো আর কিছু হতে পারে না। তা ছাড়া গাফ্ফার ভাইয়ের সহধর্মিণীও দীর্ঘদিন রোগশয্যায় ছিলেন।
প্রবাসজীবন তিনি কাটাতে চাইতেন না, চাননি। কিন্তু তাঁর পরও কোনো না কোনো কারণে স্থায়ীভাবে তার দেশে ফিরে আসা হয়নি। মাঝেমধ্যে দেশে আসতেন, আমরা তাঁর পাদস্পর্শের সুযোগ পেতাম। প্রবাসে থাকলেও চিন্তা-চেতনা-মননে তিনি সবসময়ই বাংলাদেশকে ধারণ করতেন। অর্থাৎ বাংলাদেশ তাঁর মনোজগতে ছিল সদা জাগরূক। আমরা যারা সংবাদমাধ্যমে কাজ করি, তাদের জ্যেষ্ঠদের অনেকের সঙ্গে গাফ্ফার ভাইয়ের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এবং আমরা যা দেশে থেকে জানতাম না, গাফ্ফার ভাইয়ের সেসব অজানা ছিল না; তিনি আমাদের জানাতেন। তাঁর জীবদ্দশায় কোনো এক জন্মদিনে তাকে নিয়ে একটি দৈনিকে লিখেছিলাম এবং লেখাটির শিরোনাম ছিলÑ ‘জীবন্ত এনসাইক্লোপিডিয়া’। গাফ্ফার ভাই লেখাটি পড়ে এবং শিরোনাম দেখে আমাকে বলেছিলেন, ‘এত ভারী উপাধি আমার কি বইবার সাধ্যি আছে?’ এখানেও বড়ত্বের প্রকাশ। মহত্ত্বের প্রকাশ। প্রকৃত বড় মানুষরা কতটা বড় হতে পারেন, তা তাদের দর্শন না করলে অনুমান করাও খুব কঠিন।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর কর্মঅধ্যায়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ আমার পক্ষে দুরূহ। আমাদের সংস্কৃতি-সাহিত্য কোন ক্ষেত্রে তিনি নেই! বাংলা সাহিত্যও অনেক ঋদ্ধ হয়েছে তাঁর রচনায়। সাহিত্য দিয়েই তাঁর লেখালেখি শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত কলামিস্ট হিসেবে তুখোড় জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এ পর্যন্ত যত প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি, সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি; যেদিন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর কলাম যে পত্রিকায় প্রকাশ পেত, সেই পত্রিকার প্রচারসংখ্যা ওইদিন কয়েক হাজার বেড়ে যেত। কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক রচনা তো বটেই সংবাদভাষ্য লেখায় তিনি ছিলেন অতুলনীয়। ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর আরেকটি বড় কাজ যা নিয়ে পরে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। আমরা এও দেখেছি, তিনি কী চমৎকারভাবে প্রচলিত সংবাদভাষ্য ও সাহিত্যের ভাষার ব্যবধান ঘুচিয়ে একসূত্রে গ্রন্থিত করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, তিনি লেখাকে তাঁর দায়িত্ব মনে করতেন এবং উচ্চারণ করতেন, ‘লেখাই আমার ব্রত ও সাধনা’। গাফ্ফার ভাইয়ের মতো এত রুটিন মেনে আমাদের সংবাদমাধ্যম জগতে আর কেউ লিখেছেন কি?
পঞ্চাশের দশকে কলেজের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই সাংবাদিকতায় তাঁর হাতেখড়ি এবং তখন অবিভক্ত এই ভূখণ্ডে রাজনৈতিক আন্দোলন তুঙ্গে। ষাটের দশকে ছয় দফা তথা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সমর্থক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ভিন্ন মাত্রায় বিশ্লেষণ করতে থাকেন। মহান মুক্তিযুদ্ধপর্বে তিনি আগরতলা হয়ে কলকাতা চলে যান এবং সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের মুখপত্র ‘জয়বাংলা’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিত তার কথিকা প্রচারিত হতো। মুক্তিযুদ্ধপর্বে কলকাতার বুদ্ধিজীবী মহলের সঙ্গে তাঁর ব্যাপক সখ্য গড়ে ওঠে, যা আমৃত্যু অব্যাহত ছিল। ১৯৭৫ সালে স্বাধীন এই বাংলাদেশে মর্মন্তুদ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যখন অনেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নিতে সাহস পেতেন না তখনও ফলবানবৃক্ষ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী লন্ডনে বসেই ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন।
’৭৫-পরবর্তী প্রায় দুই দশক এই রক্তস্নাত বাংলাদেশে যখন অবরুদ্ধ অবস্থা বিরাজ করছিল তখনও গাফ্ফার ভাই নীরব ছিলেন না। বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় তিনি অনেক ক্ষেত্রেই অনেক বিষয়ে তাঁর অনুসন্ধানী গভীর দৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের পর পাকিস্তানি স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান এই জনপদে এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও চীন থেকে পাকিস্তান ফেরার পথে ঢাকায় যাত্রাবিরতি সত্ত্বেও তিনি দক্ষিণাঞ্চলের ঝড়ে বিপন্ন-বিপর্যস্তদের দেখতে গেলেন না। তখন গাফ্ফার চৌধুরী লিখলেন, ‘বাঁচতে চাইলেই বাঁচবে এমন কথা তো নেই/ প্রমাণ পেলেন তো হাতে হাতে/ আট লাখ শিশু, নারী ও পুরুষ আজকে নেই/ মরে গেছে তারা এক রাতে।’ এও তাঁর দেশের ক্রান্তিকালে এক দুঃসাহসী উচ্চারণ। অন্যায়, অগণতান্ত্রিক শাসন, অনাচার, দূরাচারসহ নেতিবাচক সবকিছুর বিরুদ্ধে গাফ্ফার ভাইয়ের অবস্থান ছিল অত্যন্ত বলিষ্ঠ এবং এজন্যই তিনি অকুতোভয় সাংবাদিক হিসেবে এই ভূখণ্ডে অনন্য হয়ে আছেন। এর বাইরে তিনি একজন অসামান্য গল্প-কথকও বটে।
দীর্ঘদিন একটানা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি অমৃতলোকে যাত্রা করার কিছুদিন আগ পর্যন্তও লেখালেখিতে ছিলেন নিরলস। তিনি হাতে লিখতেন। এক হাজার থেকে পনেরো শত শব্দের কিংবা আরও বেশি শব্দে তাঁর হাতের লেখাগুলো যখন পেতাম, তখন সহকর্মীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতাম, কি করে একজন মানুষ কোনোরকম কাটাকুটি ছাড়া একটানে এমন লিখে যেতে পারেন! হ্যাঁ, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সেটাই পেরেছেন এবং আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। সত্তর বছরেরও বেশি সময় তিনি একটানা লেখালেখি করেছেন, সংবাদমাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। গাফ্ফার চৌধুরী রাজনৈতিক লেখালেখির প্রতি বেশি মনোযোগী হয়ে পড়ায় সাহিত্যের পথে তাঁর হাঁটা কমে যাওয়ায় আমরা সাহিত্যের অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছিÑ এ কথা অনেকেই বলেন। কিন্তু তিনি মনে করেছিলেন, একজন সচেতন এবং দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে তাঁর যখন যে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন তিনি সেক্ষেত্রেই দাঁড়িয়েছেন।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আমার মতো অনেকের সাংবাদিকতায় শিক্ষাগুরু এবং খুব গর্ববোধ করি কালজয়ী বাঙালি বহুমাত্রিক এই লেখকের সংস্পর্শে থাকতে পারার কারণে। যত দিন বাঙালি থাকবে, যত দিন একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হবে, তত দিন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর রচনা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারিৃ’ শহীদ স্মৃতি স্মরণে এই গানটি কোটি কোটি মানুষের কণ্ঠে গীত হবে। কারণ একুশ এখন বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ছিলেন বাঙালি ও অসাম্প্রদায়িকতার বাতিঘর। বহুমাত্রিক লেখক গাফ্ফার ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধপর্বের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও। তিনি শুধু লেখালেখি করেই তাঁর দায়িত্ব শেষ করেননি, তিনি দেশপ্রেমিক প্রগতিশীল, মৌলবাদবিরোধী অসাম্প্রদায়িক মানুষদের একত্র করে পথ দেখিয়েছেন। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী পাকিস্তান আমল থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ভিত রচনা করতে যে ভূমিকা পালন করেছেন, তাও ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে জ্বলজ্বল করছে। ইতিহাস ছিল তাঁর ঠোঁটস্থ। তিনি নিজে যেমন ইতিহাসের অক্ষয় অধ্যায় হয়ে আছেন, তেমনি ইতিহাস বিশ্লেষণেও তাঁর স্বকীয়তা দৃশ্যমান হয়েছে।
ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনা, চরিত্র এমনকি দিন-তারিখ মনে রেখে বর্ণনার অসামান্য গুণের অধিকারী আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী একজন কিংবদন্তি মানুষ ছিলেন এবং সবকিছুর বর্ণনা করতে পারতেন তিনি অনর্গলভাবে। অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যে কলম তিনি হাতে তুলে নিয়েছিলেন, সেই বায়ান্ন ভাষা আন্দোলনেরও আগ থেকে তা বলতে গেলে প্রায় আমৃত্যু তিনি অব্যাহত রেখেছিলেন। সারাটা জীবন এভাবে সোচ্চার থাকা কজনের পক্ষে সম্ভব, তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে প্রশ্ন হয়েই থাকবে। রাজনীতি বা রাষ্ট্রনীতি তথা মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর প্রগাঢ় প্রত্যয় ছিল। গাফ্ফার ভাই, আপনাকে বিনম্র শ্রদ্ধা। সবসময়ই আপনার অনুপ্রেরণা-চেতনা-মূল্যবোধ ধারণ করে আমরা শক্তি সঞ্চয় করব। আপনি আমাদের মধ্যে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। প্রণতি। সাংবাদিক, কবি ও লেখক, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।