শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:২৮ pm
ডেস্ক রির্পোট :
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী টাকা লুটপাট করে নিজেদের চৌদ্দপুরুষের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতেই দেশের টাকা লুটে নিচ্ছেন ক্ষমতাসীনরা। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক নয়, মাফিয়ারা ঢুকবে, ঋণখেলাপিরা ঢুকবে, এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে সরকার।
তিনি বলেন, ৯২ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক-খাত থেকে লোপাট হয়ে গেছে। জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। এগুলো করেছে সরকার ও তাদের সুবিধাভোগী লোকেরা। ১৫৬ হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে লোপাট হয়ে গেছে। কিন্তু ২০০৮ সালে ছিল তা ২২ হাজার কোটি টাকা। ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেয়া হয়েছে। রিজার্ভে ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে বললেও আছে মাত্র ৭-৮ বিলিয়ন ডলার।
রিজভী বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও জনগণ অংশ নেবে না। লুটতন্ত্র, মাফিয়া তন্ত্রের কারণে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের অজুহাত ভুয়া। যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য যদি ক্ষতি হতো তাহলে সবার আগে ইউরোপে আঘাত হানতো, এতদূরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে কেন?
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পণ্য? বাংলাদেশ ব্যাংক কি ক্যান্টনমেন্ট যে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারবে না? ক্যান্টনমেন্টেও প্রয়োজনে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারেন। তবে সেখানে কেন নয়? মাফিয়া সরকারের জনগণের টাকা লোপাট করে বিদেশে ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকার কথা প্রকাশ পেয়ে যাবে; এমন ভয়েই ব্যাংকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এসময় ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে কথিত আগুন লাগানোর ঘটনায় নিহত দুই সহোদর শ্রমিকের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেয় বিএনপি।
এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে রিজভী বলেন, গোটা জাতিকে গোরস্থানে পরিণত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। পাড়া মহল্লায় খুন আর খুন। ফরিদপুরের দুই ভাইকে হত্যা যেন পরিকল্পিত তামাশা। সরকারের পক্ষ থেকে নাটক-প্রহসন তৈরি করা হচ্ছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এগুলো করছে সরকার। সূত্র : এফএনএস