বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:১৩ pm
ডেস্ক রির্পোট :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রাক্তন স্বামীকে গৃহবধূর ঘরের খাটের নিচে খুঁজে পাওয়ায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক নারীকে নির্যাতন ও তার চুল কেটে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে রাতভর বেঁধে রাখা হয়।
রোববার মধ্যরাতে উপজেলার রাখালবুরুজ পচারিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানাজানি হলে পুলিশ সোমবার ও মঙ্গলবার দুপুরে এক নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রামবাসী জানান, ওই গ্রামের এক বাকপ্রতিবন্ধীর স্ত্রীর (৩২) ঘরের খাটের নিচে রোববার মধ্যরাতে প্রাক্তন স্বামী মোনারুল ইসলামকে (৩৫) দেখতে পান প্রতিবেশীরা। এ সময় ওই নারীর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না।
ঘটনা দেখতে পেয়ে ওই গ্রামের শাহজাহান আলী, চামেলী বেগম, আব্দুল ছাত্তার, হারুন মিয়া, আইনুল ইসলাম ও দেলবর রহমানসহ কয়েকজন অপবাদ দিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করেন। তারা প্রাক্তন স্বামী মোনারুল ইসলামকে কোনো দোষ না দিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। পরে গৃহবধূকে টেনেহিঁচড়ে বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে উল্টো করে দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। শুধু তাই নয়, তারা অপবাদ দিয়ে মাথার চুল কেটে নির্যাতন করেন।
চামেলী বেগম জানান, ছকিনা আমার সম্পর্কে জা হয়। সে ঘরের ভেতরে প্রাক্তন স্বামীকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারপিট করেন।
পুলিশ জানায়, রোববার রাত ২টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিত ছকিনাকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নির্যাতিত ছকিনা সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে এ ঘটনায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে নির্যাতিত গৃহবধূ বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা হলে পুলিশ উপজেলার রাখালবুরুজ পচারিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ফছুর উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান আলী (৪৮), একই গ্রামের আলিম উদ্দিনের স্ত্রী চামেলী বেগম (৪০) ও আমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল ছাত্তারকে (৫৫) গ্রেফতার করে। পরে অভিযুক্ত প্রাক্তন স্বামী মোনারুল ইসলামকে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। রা/অ