শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৪৬ pm
ডেস্ক রির্পোট :
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ এ পিরোজপুর জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (কলেজ পর্যায়) নির্বাচিত হয়েছেন প্রফেসর গোলাম মোস্তফা। তিনি ১৪’শ বিসিএসের একজন কর্মকর্তা। পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে ২০১৮ সাল থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। উল্লেখ্য যে, ২০১৪ সাল থেকেই তিনি উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার দায়িত্বকালে মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচিত হয়ে আসছে।
বিগত বছরগুলোর ন্যায় ২০২৪ সালেও মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়াও পিরোজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক মোঃ মোহসেনুল মান্না। উল্লেখ্য যে, মোঃ মোহসেনুল মান্না প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম মোস্তফার চৌকস নেতৃত্বের কারণে উপজেলা পর্যায়ের কলেজটি একাধিকবার জেলায় শ্রেষ্ঠত্ব ও বিভাগীয় পর্যায়ে আলোচিত হয়েছে। মূলত শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণেই প্রতিষ্ঠানটির শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জন সম্ভব হয়েছে।
প্রফেসর গোলাম মোস্তফা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য মোবাইল ফোনে তত্ত্বাবধায়ন, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ফিডব্যাক ক্লাস ও নিবিড় পরিচর্যা করা, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্নভাবে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং গোটা ক্যাম্পাসে শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতকরণে নানামুখী কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে। অধ্যক্ষের প্রচেষ্টায় কলেজটিতে চারটি বিষয়ে স্নাতকে পাঠদান চালু হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে, কলেজের সুনাম ইতোমধ্যেই জেলা ছাপিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ক্লাসরুমের শিক্ষা ছাড়াও কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্তকরণে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহন, আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে জাতীয় দিবসসমূহ উদযাপন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন আয়োজন করার মাধ্যমে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম মোস্তফা ইতোমধ্যেই শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তি হিসেবে সুধীমহলে প্রশংসিত হয়েছেন। নিয়মিত ভিজিল্যান্স এবং ক্লাস মনিটরিংয়ের মাধ্যমে শতভাগ ক্লাস নিশ্চিত করতে তিনি বদ্ধপরিকর। তার শিক্ষা দর্শনে শিক্ষার্থীদের স্বার্থই সর্বাগ্রে গুরুত্ব পাচ্ছে।
মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম মোস্তফা অধ্যক্ষ হিসেবে তার নিজস্ব প্রচেষ্টা ও সদিচ্ছাবলে কলেজের আমূল পরিবর্তন সাধন করেছে। মঠবাড়িয়া উপজলা ও পিরোজপুর জেলার মধ্যে স্মার্ট কলেজ হিসেবে ধারাবাহিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে কলেজে সুপেয় পানির প্লান্ট, সীমানা প্রাচীর, গেট, পতাকা স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ সুসজ্জিত এবং ক্লাসরূমের বাইরের নান্দনিক প্রাকৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করেছেন। তিনি কলেজকে স্মার্ট কলেজ হিসেবে দেখতে চান। বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ৬ তলা সুউচ্চ ও সুদৃশ্য বিল্ডিংয়ের কাজ প্রায় সম্পন্নের পথে। আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই শিক্ষার্থীরা জ্ঞান আহরণে আরও যুগোপযোগী পরিবেশ পাবে এবং এতে কলেজের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।
প্রফেসর গোলাম মোস্তফা মনে করেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট নাগরিক গড়তে হবে। আর স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারখানাই হলো স্মার্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনি তার একঝাঁক তরুণ ও মেধাবী সহকর্মীদের নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক বিনির্মানে কারিগর হিসেবে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমের সফলতা হিসেবে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়া এবং জেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া তার কাজের পুরস্কার। যদিও তিনি বলেন, কোন পুরস্কারের আশায় তিনি দায়িত্ব পালন করেন না বরং শিক্ষকতার মহান ব্রতের সাথে তার যে প্রতিশ্রুতি এবং মঠবাড়িয়াবাসীর মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ নিয়ে যে প্রত্যাশা তা পূরণের জন্যই তিনি অবিরাম অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টা করে যাচ্ছেন, রাজু আহমেদ।